ডা. জাহিদ বলেন, আওয়ামী লীগের বিচারের জন্য সোচ্চার বিএনপি।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে আইন-আদালত বা সরকার নয়, সিদ্ধান্ত নেবে দেশের জনগণ। গণহত্যাকারী, গুম-খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
আওয়ামী লীগ যেকোনো সময় রাজনীতিতে সচল হতে পারে’ -প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে নতুন করে রাজনীতিতে প্রশ্নবোধক চিহ্ন তৈরি হয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আজহার শফিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাহিদ বলেন, আওয়ামী লীগের বিচারের জন্য সোচ্চার বিএনপি। যারা গণহত্যার আদেশ দিয়েছেন তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। বিএনপি বারবার বলেছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ।
‘আওয়ামী লীগ গণশত্রেু পরিণত হয়েছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে, কোনো অবস্থাতেই গণহত্যাকারী এবং গণদুশমন যারা ছিলো, যারা গুম করেছে, যারা মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে, যারা মানুষের সম্পদ লুণ্ঠন করে বিদেশে নিয়ে পাহাড় গড়েছে তাদেরকে বিচার এবং বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি, আয়না ঘর বলেন, গুম বলেন, এনকাউন্টার বলেন এবং অট্টহাসি অর্থাৎ প্রতিহিংসা পরায়ণতার যে চরমপরাকাষ্ঠা উনারা দেখিয়েছেন এর বিরুদ্ধে বিএনপি সবসময় সোচ্চার এবং আমরা মনে করি, তারা (আওয়ামী লীগ) গণদুশমন।
জাহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে আমরা দেখেছি যে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বলেছিল যে, নিষিদ্ধের বিষয়টা, কাকে গ্রহণ করবে বা করবে না, এটা জনগণের বিষয়। এটা কোনো অবস্থাতেই আইন আদালত অথবা সরকারি সিদ্ধান্তে করার যে প্রক্রিয়া, এটার সঙ্গে বিএনপি সবসময় দ্বিমত পোষণ করেছিল। বিএনপি বলেছিল জনগণ সিদ্ধান্ত নিবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এতো কথা বলে অথচ ২৪ -এর গণহত্যা নিয়ে তাদের কোনো অনুশোচনা নেই।
শেখ হাসিনার উদ্দেশে জাহিদ বলেন, বিএনপি ও গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলনকারী শক্তির যে ঐক্য হয়েছিলো, যদি ভয়ে ভীত হতো তবে শেখ হাসিনা পালাতেন না। সত্যিকার রাজনীতিবিদ হলে তিনি মাঠের রাজনীতি করতেন, হয়তো জেলে যেতেন, কিন্তু তিনি তা করেননি। রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি অন্যায় করেছেন।

বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর।
আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর।
তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ।
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত।
শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি,
বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান।
ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী।
জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। 