নতুন তথ্য দিলেন কবির হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিয়ে।
ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির মালিকানা নিয়ে আদালতে নতুন তথ্য দিয়েছেন আসামি মো. কবির। কবির দাবি করেন, মোটরসাইকেলটি তার বন্ধু মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ কিনেছেন। তবে কেনার সময় তার জাতীয় পরিচয়পত্রটি ব্যবহার করা হয়েছিল।
এদিন কবিরকে আদালতে হাজির করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় আদলত কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বলেন, হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক কবির এবং তিনি মোটরসাইকেল সরবরাহের মাধ্যমে অপরাধে সহযোগিতা করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাইয়ুম হোসেন নয়ন রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। তবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
শুনানিতে কবির আদালতকে বলেন, মোটরসাইকেলটি তার বন্ধু মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ কিনেছেন। তারা দুজন একই দিনে মোটরসাইকেল কিনতে যান। তখন শুভ তার (কবিরের) আইডি কার্ড ব্যবহার করে মোটরসাইকেলটি কেনেন। মোটরসাইকেলের অন্যান্য কাগজপত্র শুভর নামে রয়েছে এবং অনেক দিন আগে সেটি কেনা হয়েছে।
কবির আদালতকে আরও জানান, তিনি উবার চালাতেন এবং মাঝেমধ্যে ফয়সাল করিম মাসুদ তাকে ফোন করে গুলশানসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতেন। প্রায় ১৮ থেক ২০ দিন আগে ফয়সাল ফোন করে তাকে হাদির অফিসে নিয়ে যেতে বলেন এবং সেখানে নিয়ে যান।,
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টা ঘটনার মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সন্দিগ্ধ কবির ওরফে মো. কবিরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব
এর আগে, রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সামিয়া, বান্ধবী মারিয়া ও শ্যালক শিপুকে আট করে র্যাব। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) তাদের আদালতে তোলা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। তার আবেদনের ভিত্তিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালত তাদের ৫ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।,
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পল্টন থানায় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, হত্যাচেষ্টা, বিপজ্জনক অস্ত্র ব্যবহার করে স্বেচ্ছায় গুরুতর আঘাত, দুষ্কর্মে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।,
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদরসহ (৩৭) অজ্ঞাতনামা আসামিরা তৎকালীন সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তারা হত্যা, গুম ও খুনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থান প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল। তবে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণমানুষের অংশগ্রহণে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটে।
জুলাই অভ্যুত্থানে আহত শরিফ ওসমান হাদি (৩৩) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে তিনি রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ‘ইনকিলাব মঞ্চ’ গঠন করে এর মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন বক্তব্য দেন। এ কারণে তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের বিরোধিতার মুখে পড়েন এবং একাধিকবার হত্যার হুমকি পান।,
এজাহারে আরও বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেন।,

পবিত্র মাটিতে আর কোনোদিন ফিরে আসবে না ফ্যাসিস্ট। এই দেশ রাষ্ট্র আমাদের, এর ভবিষ্যৎও আমাদের হাতেই: প্রধান উপদেষ্টা।
মুক্তি যুদ্ধ স্বাধীনতাবিরোধীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়: মির্জা ফখরুল।
নতুন তথ্য দিলেন কবির হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিয়ে।
শহীদের চেতনা মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ জিয়া একই সূত্রে গাঁথা।
বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর।
আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর।
তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। 