Sobujbangla.com | আরসার অবস্থান অ্যান্ড্রুজ নিশ্চিত হলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুই জানেন না (ভিডিও)
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

আরসার অবস্থান অ্যান্ড্রুজ নিশ্চিত হলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুই জানেন না (ভিডিও)

  |  ২০:১২, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১

রোহিঙ্গা হত্যা, নির্যাতন ও গুমসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে রাখাইনের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরসা। মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক টম অ্যান্ড্রুজ এই দাবি করেন। বাংলাদেশ সফরে এসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার উপস্থিতি সম্পর্কে অবগত নন। ২০১৬ সালে মিয়ানমারের মংডুতে সশস্ত্র হামলার মধ্য দিয়ে জানা যায়, আরসা নামে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর কথা। যার পুরো নাম আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি। নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ই আরসার প্রধান উদ্দেশ্য বলে দাবি সংগঠনটির। তবে কক্সবাজারে বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে আরসার বিরুদ্ধে। সবশেষ রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহ হত্যার সঙ্গে আরসার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করে তার পরিবার। বাংলাদেশ সফরের শেষ দিনে মিয়ানমারের জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদকও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক টম অ্যান্ড্রুজ বলেন, আমার কাছে নির্ভরযোগ্য তথ্য আছে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের হত্যা, নির্যাতন ও গুম করে আরসার সদস্যরা। মহিবুল্লাহর পরিবারও আমাকে বলেছে তার হত্যারে সঙ্গে আরসা জড়িত। আমি চাই এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তা জোরদার করা হোক। তবে বাংলাদেশ সরকার বরাবরই দেশের মাটিতে আরসার কর্মকাণ্ডের অস্তিত্ব অস্বীকার করে এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর মালদ্বীপ সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আরসা কিভাবে কাজ করে কিংবা কারা সংগঠনটির সদস্য তা জানতে চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আরসার কথা আমি বাংলাদেশে দেখিনি কখনো। উনি যদি নির্দিষ্ট করে বলতে পারেন কোন কোনটা আরসা তাহলে আমরা ধরে তাদের দেশে পাঠিয়ে দেবো। আমরা দেখতে চাই কারা কারা আরসা আছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সরকারের প্রধান লক্ষ্য। তবে জাতিসংঘ কিংবা অন্য কেউ যদি রোহিঙ্গাদের জায়গা দিতে চায় বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ