Sobujbangla.com | শুধু মোহাম্মদ আলীই লুট করেন ‘আড়াইশ কোটি টাকার পাথর।
News Head
 সারজিস বলেছেন আগামীর বাংলাদেশে দাসত্ব প্রত্যাশা করি না। জি এম কাদেরের বাসা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদও করা হয় রোহিত শার্মার দুই কীর্তি এক শটে বিএসএফ ২২ জনকে পাঠালো চুনারুঘাট সীমান্ত দিয়ে আরও। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল করেছে সিলেট জেলা মহিলা দল। সিলেটে কোম্পানীগঞ্জের বিরিজ গর্ত, দুর্ঘটনার শঙ্কা বলের চমক আফগানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের দারুণ শুরু,। সিলেটে বিক্ষোভ ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে। ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে এই দেশ সকলের। যেকোনো মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবো,। বাংলা দেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী গন অধিকার পরিষদ থেকেই হবে।

শুধু মোহাম্মদ আলীই লুট করেন ‘আড়াইশ কোটি টাকার পাথর।

  |  ২০:২২, অক্টোবর ১৫, ২০২১

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ১৩৭ দশমিক ৫০ একর আয়তনের শাহ আরেফিন টিলার নিচে রয়েছে বড় বড় পাথর খন্ড। এসব পাথর উত্তোলন করতে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে সরকারি খাস খতিয়ানের বিশাল এই টিলা। লালচে, বাদামি ও আঠালো মাটির এই টিলার পুরোটা খুঁড়ে তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য গর্তের। ফলে টিলার অস্থিত্বই এখন সঙ্কটে। টিলার মাটি কেটে গর্ত খুঁড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে প্রায়ই মাটি ধসে এখানে শ্রমিকের মৃত্যু হয়। গত পাঁচ বছরে এই টিলা ধসে অন্তত ২৫ জন পাথর শ্রমিক মারা গেছেন। কোম্পানীগঞ্জের এই টিলা থেকে শুধু মোহাম্মদ আলীই লুট করেছেন ২৫১ কোটি ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার পাথর। লুটের অভিযোগ এনে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে এই টিলার কোয়ারির ইজারাদার মেসার্স বশির কোম্পানীর সত্ত্বাধিকারী উপজেলার কাঠালবাড়ি এলাকার মোহাম্মদ আলীকে (৪০)। ইতিমধ্যে সিলেট জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন। জানা যায়, শাহ আরেফিন টিলা ধ্বংস করে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাথর উত্তোলনের বিষয়টি বিভিন্ন সময়ে উঠে আসে গণমাধ্যমে। ২০১৬ সালে এই টিলা থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়। তবু ঠেকানো যায়নি অবৈধ পাথর উত্তোলন। এবার দুদকের পক্ষ থেকে প্রায় আড়াইশ’ কোটি টাকার পাথর লুটের অভিযোগে মামলা করা হলো।মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দুদকের সিলেট জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন জানা্ন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ আরো উল্লেখ করা হয়, ২০০৪ সালের এপ্রিলে শাহ আরেফিন টিলার ৬১ একর ভ’মি পাথর উত্তোলনের জন্য ১৩ শর্তে মোহাম্মদ আলীকে ইজারা দেওয়া হয়। তবে ইজারা নেওয়ার পর শর্তভঙ্গ করে পাথর উত্তোলন শুরু করেন মোহাম্মদ আলী। এতে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে টিলা থেকে পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে খনিজ সম্পদ উন্নয় ব্যুরো। তবে মোহাম্মদ আলী এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রাখেন। এমনকি ৬১ একর ভ’মি ইজারা নিলেও তিনি টিলার পুরো ১৩৭ একর জায়গা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন শুরু করেন। পাথর উত্তোলনের পূর্বে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা নেননি ইজারাদার। এসব অভিযোগ এনে মামলার এজাহারে বলা হয়, সার্বিক বিচারে অবৈধভাবে ৬২ লাখ, ৮৮ হাজার ৭৫০ ঘনফুট সরকারি পাথর অভেধভাবে উত্তোলন করে ২৫১ কোটি ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা লুট করেছেন মোহাম্মদ আলী। এরআগে ২০১৭ সালে পাথর উত্তোলনকালে একসাথে ৫ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায়ও এই টিলায় অবৈধ কার্যক্রমের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। সেসময় জেলা প্রশাসনের তদন্তেও ইজারাদারে অনিয়মের প্রমাণ মেলে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ