Sobujbangla.com | ক্ষুব্ধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

ক্ষুব্ধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

  |  ২১:৩৬, অক্টোবর ০৫, ২০২১

সিলেট বিমানবন্দর-বাদাঘাট বাইপাস সড়ক চারলেনের কাজ ১২ বছর ধরে ঝুলিয়ে রাখা নিয়ে ক্ষুব্ধ পতিক্রিয়া দেখিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি মঙ্গলবার সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভারত সরকারের দেয়া দুটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে এই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এসময় মন্ত্রী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ কর্মকর্তাদের ‘রিজাইন’ দেয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ১২ বছরে ১২ কিলোমিটার রাস্তার প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারেন নি, এই ব্যর্থতার জন্য সওজ কর্মকর্তাদের লজ্জা হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১০ সালে বিমানবন্দর-বাদাঘাট বাইপাস সড়ক উন্নয়নের প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু এখনো শেষ হয়নি। ১২ বছরে ১২ কিলোমিটার রাস্তার কাজ হয়নি। এটা সংশ্লিষ্টদের জন্য লজ্জার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ব্যর্থতার জন্য আমাদের জন্য দু:খের, যারা এই রাস্তা ব্যবহার করছেন তাদের জন্যও দু:খের। আর যারা এই কাজের দায়িত্বে (সওজ কর্মকর্তারা) ছিলেন তাদের জন্য লজ্জার। ১২ বছরে একটি রাস্তা করতে না পারার জন্য তাদের মাথা ‘হ্যাট’ হওয়া উচিত। লজ্জায় তাদের চাকুরি ছেড়ে দেয়া উচিত। উদাহরণ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ কুরিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে যখন পার্ক আসেন তখন তিনি আইন করেন একটা প্রকল্পের জন্য একজনই প্রকল্প পরিচালক থাকবেন। এক ব্যক্তি একাধিক প্রকল্পের পরিচালক হবেন না। সময়মতো এই পরিচালক তার প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারলে ‘প্রমোটেড’ হবেন, আর ব্যর্থ হলে প্রয়োজনে তাকে চাকুরি থেকে বের করে দেয়া হবে। এই আইন বাস্তবায়নের ফলে সাউথ কুরিয়া এখন মডেল। অথচ তারা আমাদের চেয়ে গরীব দেশ ছিল। ড. মোমেন বলেন, ‘এখন সময় এসেছে আমাদেরও এরকম চিন্তা-ভাবনা করার। প্রধানমন্ত্রীকেও এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে। কারণ জনগণের কাছে আমরা উন্নয়নের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উন্নয়নের ব্যাপারে কোন গাফিলতি গ্রহণযোগ্য নয়।’ সিলেটের কোন উন্নয়ন যাতে আটকে না যায়, সে ব্যাপারে স্থানীয় নেতাদেরও দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ