উদ্বোধন হলেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ, নতুন নির্মিত হচ্ছে ৪৩টি
মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় দৃষ্টিনন্দন ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার। এরমধ্যে প্রথম পর্যায়ে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ সুরমায় নির্মিত মসজিদসহ দেশের ৫০টি মডেল মসজিদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে সিলেট বিভাগে মোট ৪৩টি মসজিদ নির্মাণ করা হবে বলে জানা গেছে। দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লাগোয়া তিনতলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলীর এই মসজিদের আয়তন ১ হাজার ৬৮০ দশমিক ১৪ বর্গমিটার। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সিলেটসহ দেশের এসব মসজিদ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তবে উদ্বোধন হলেও এখন পর্যন্ত মসজিদের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়নি। পুরো কাজ শেষ করতে আরও সপ্তাহ তিনেক লাগবে বলে জানিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। আর উপজেলা প্রশাসন বলছে, গণপূর্ত থেকে এখনও মসজিদটি হস্তান্তর না করায় ইমাম নিয়োগসহ মসজিদের আনুসাঙ্গিক কার্যক্রম শুরু হয়নি। জেলা গণপূর্ণ অফিসের সহকারি প্রকৌশলী মো. ইকবাল শিকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন বলে তাড়াহুড়ো করে কিছু কাজ করা হয়েছে। এসব কাজে কোনো ত্রুটি বিচ্যুতি আছে কি না তা এখন পরীক্ষা করা হবে। ত্রুটি থাকলে সারিয়ে নেওয়া হবে। এসব কাজে আরও প্রায় সপ্তাহ তিনেক লাগতে পারে। মাসখানেকের মধ্যে আমরা মসজিদটি উপজেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করতে পারবো বলে আশা রাখি। তিনি বলেন, এই মসজিদ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। তবে পুরো কাজ শেষে কত টাকা ব্যয় হয়েছে তা বুঝা যাবে। দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী মসজিদটি উদ্বোধন করলেও গণপূর্ত থেকে এটি এখনও আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে এখনও ইমাম-মোয়াজ্জিন নিয়োগসহ আনুসাঙ্গিক কার্যক্রম শুরু হয়নি। তবে আমরা এখানে নামাজের কার্যক্রম শুরু করে দেবো। উপস্থিত মুসল্লিদের মধ্যেই একজন ইমামতি করবেন। জানা যায়, ইসলামী শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য প্রচারের পাশাপাশি সন্ত্রাস, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ এবং সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। প্রাথমিক অবস্থায় সৌদি সরকার এতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তীতে তারা সরে যায়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, আরব বিশ্বের মসজিদ কাম ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের আদলে এসব মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সুবিশাল এসব মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক ভবনে নারী ও পুরুষের আলাদা ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা থাকবে। থাকবে লাইব্রেরি, গবেষণা কেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, কোরআন হিফজ বিভাগ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন। এছাড়া মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ, অটিজম কেন্দ্র, গণশিক্ষা কেন্দ্র, ইসলামী সংস্কৃতি কেন্দ্র থাকবে। ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা এবং গাড়ি পার্কিং সুবিধাও রাখা হয়েছে মডেল মসজিদে। ৪০ শতাংশ জায়গার ওপর তিন ক্যাটাগরিতে এই মসজিদগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। জেলা পর্যায়ে চারতলা, উপজেলার জন্য তিনতলা এবং উপকূলীয় এলাকায় চারতলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতিকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর।
তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ।
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত।
শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি,
বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান।
ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী।
জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। 