Sobujbangla.com | সাতছড়ি থেকে ১৮ টি রকেট লাঞ্চার উদ্ধার।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

সাতছড়ি থেকে ১৮ টি রকেট লাঞ্চার উদ্ধার।

  |  ১৮:৩৩, মার্চ ০৩, ২০২১

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে অবস্থিত বন্য প্রাণীর অভয়াশ্রম সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে গুপ্ত অভিযান চালিয়ে ১৮টি রকেট লঞ্চারের গোলা উদ্ধার করেছে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এর আগে সাতছড়ি থেকে আরও ৬ বার গুলাবারুদ উদ্ধা করা হয়েছিলো।
বুধবার সকাল ১১টায় বিজিবি ৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামিউন্নবী চৌধুরী প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা উদ্যানের ভেতরে নজর রাখছিলাম। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তির গতিবিধি লক্ষ্য করি। সেই ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গহীন অরণ্য থেকে লঞ্চারগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব করা হয়নি। এছাড়া কয়েকজনের গতিবিধি লক্ষ করে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করলেও কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর থেকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহীন অরণ্যে অভিযান চালায় বিজিবি’র সদস্যরা। রাতভর অভিযানের ফলে এগুলো উদ্ধার হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় সেক্টর কমান্ডার তুহিন মাসুদসহ বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, একটি বেটাগান, ছয়টি এসএলআর, একটি অটোরাইফেল, পাঁচটি মেশিনগানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে র‌্যাব।
এরপর আবারো ওই বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে চতুর্থ দফার প্রথম পর্যায়ে উদ্যানের গহিন অরণ্যে মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিনগান, চারটি ব্যারেল, আটটি ম্যাগাজিন, ২৫০গুলির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আটটি বেল্ট ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়। পরে ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০ রাউন্ড, ত্রি নট ত্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্ত লের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়।
৫ম দফায় ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সাতছড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার করা হয়। সবশেষ ৬ষ্ট দফায় ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ১৩টি রকেট লঞ্চারের শেলসহ বেশকিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ