এমসিতে গৃহবধূ গণধর্ষণ: আরও সময় চান আসামিরা।
সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র পর্যালোচনার জন্য আদালতের কাছে সময় চেয়েছে ধর্ষণ মামলার ৮ আসামি। ধর্ষণ মামলায় মূল অভিযুক্ত আসামিরা হলেন সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়াকে সরাসরি ধর্ষণে সম্পৃক্ত এবং রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। এই ৮ আসামিই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
রবিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের তারিখ ধার্য ছিল।
এদিন আসামিদের পক্ষে আদালতে সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক মোহিতুল হক অভিযোগপত্র বিষয়ে যেকোনও আপত্তি এক সপ্তাহের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ১০ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
এদিন আদালতে মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনি জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তা নাকচ করে দেন।
আদালতের কৌঁসুলি রাশিদা সাইদা খানম জানান, মামলার আসামিপক্ষের আবেদনের প্রেকিষতে আদালত ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে আসামিরা অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করবে।
এদিকে অভিযোগ গঠন শুনানি ঘিরে আজ মামলার অভিযোগভুক্ত ৮ আসামিকেই আদালতে হাজির করা হয়।
গত ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে মামলার অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সিলেট এমসি কলেজ এলাকায় স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে আসেন এক গৃহবধূ। পরে ওই গৃহবধূকে স্বামীসহ কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে মারধর করে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে আসামিরা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
ওই দিন রাতেই ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করেন। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়। এরপরই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
এমসি কলেজের এ ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে সারা দেশ ধর্ষণবিরোধী তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠে। এরইমধ্যে জনদাবির মুখে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ধর্ষণবিরোধী আইন সংশোধন করে সরকার।

আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর।
তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ।
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত।
শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি,
বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান।
ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী।
জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। 