Sobujbangla.com | তাহিরপুরে খ্রিস্টান পল্লীতে নেই উৎসবের আমেজ।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

তাহিরপুরে খ্রিস্টান পল্লীতে নেই উৎসবের আমেজ।

  |  ১৮:৫১, ডিসেম্বর ২৫, ২০২০

করোনা প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতিতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তের খিস্টানপল্লী গুলোতে নেই উৎসবের আমেজ। বিশেষ করে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক সম্প্রদায়ের লোকজন এবছর উৎসবপর্বের আচারাদি কমিয়ে কেবল ঘরোয়া প্রার্থনা ও যিশুখ্রিস্টের জন্মদিনে অনাড়ম্বরভাবে আয়োজনে কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করা হবে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার গীর্জাগুলোতে করোনামুক্তি ও দেশের মঙ্গল ও উন্নতি কামনা বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।
সুনামগঞ্জ জেলা পরিসংখ্যান অফিস সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের ৬ উপজেলার দুর্গম, পাহাড়ি টিলা ও ঝোপঝাড়ে এখনো বসবাস করে ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক (আদিবাসী) জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭ হাজার মানুষ। এদের মধ্যে গারোদের সংখ্যাই বেশি। তাছাড়া কিছু খাসিয়াও রয়েছে। তারা খ্রিস্টান ধর্ম পালন করেন। ২০১১ সালের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী জেলায় প্রায় ১ হাজার ৪৬৪ টি ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক গোষ্ঠীর লোকদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি পরিবার খ্রিস্টান ধর্ম পালন করেন। তারা প্রতি বছর যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে উৎসবে মাতেন।
২৫ ডিসেম্বরের সাধারণত প্রথম প্রহরেই কীর্তন ও সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে উৎসবে মাতেন তারা। সকালে খাবার পর্ব সবাই মিলে মিশে নির্ধারিত বাড়িতে ভোজগ্রহণ করেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কমিয়ে আনা হয়েছে। রাতে কেবল ঘরোয়াভাবে কীর্তন পরিবেশন হবে এবং ২৫ ডিসেম্বর সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঘরোয়া আয়োজনে খানাপিনা হবে।
সূত্রে জানায়, অন্যান্য বছর তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের কড়ইগড়া, চানপুর বড়দিন উপলক্ষে উৎসবে সাজে। আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা হয় বসতবাড়িতে। কিন্তু এবছর উৎসবের আমেজ নেই এই পল্লীগুলোতে।
এদিকে খ্রিস্টান সম্প্রদায় যাতে নির্বিঘ্নে বড়দিন পালন করে এ উপলক্ষে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গীর্জাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
উন্নয়নকর্মী ইলিমেন্ট হাজং বলেন, শুধু উন্নয়ন-অবকঠামো-সহায়তা থেকেই আমরা বঞ্চিত নয়। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়নে অংশিদারিত্ব ও মতামত প্রদানের জন্য যে দাবি জানিয়ে আসছি তারও সুযোগ দেওয়া হয়না। আমাদের এলাকার বাঙালি অধ্যুষিত জনপদে যে পরিমাণ অবকাঠামো উন্নয়ন, সহায়তা প্রদান করা হয় তার বিন্দু পরিমাণও আমরা পাইনা। আমরা যুগযুগ ধরে এভাবে রাষ্ট্রের নাগরিক হয়েও বঞ্চিত হচ্ছি।
সিলেট প্রেসবিটারিয়ান সিনট এর সাধারণ সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতা শঙ্কর মারাক বলেন, করোনা মহামারির কারণে সারা বিশ্বের জীবধারা এখন থমকে আছে। তাই আমাদের উৎসবও এবার কমিয়ে আনা হয়েছে। আমরা ঘরোয়াভাবে উৎসব পালন করব। করোনা মহামারি থেকে মানবজাতির মুক্তি কামনা করব।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল আহাদ বলেন, বড়দিন উপলক্ষে আমরা খিস্ট্রান সম্প্রদায়ের সকল নাগরিকদের শুভেচ্ছা জানাই। তারা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের আচারাদি পালন করতে পারেন, এ নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বলে দিয়েছি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ