কর্মসংস্থান মন্ত্রী সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল হয়ে সংবাদ পরিবেশনের অনুরোধ জানান।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা অভিবাসন খাতকে সমৃদ্ধ করবে। জনগণকে সচেতন করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে সংবাদমাধ্যম। তিনি বলেন, ‘দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সচেতনতা তৈরির কাজটি কোনোভাবেই মিডিয়া ছাড়া সম্ভব নয়। মন্ত্রণালয় থেকে একদম উপজেলা পর্যন্ত মিটিং করেছি, দরকার হলে আবার করবো। কিন্তু এনজিও, সিএসও এবং মিডিয়া এরাই হলো মূল চালিকা শক্তি যাদের মাধ্যমে জনগণকে অভিবাসন বিষয়ে সচেতন করতে পারবো।’ আজ ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশ এর হেড অব কোঅপারেশন মাউরিজিও কিয়ান, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) বাংলাদেশের চীফ অব মিশন গিওরগি গিগাওরি, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, সিনিয়র ডিরেক্টর কেএমএম মোর্শেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সাংবাদিকতার মাধ্যমে বাংলাদেশের অভিবাসন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখায় এ বছর ‘মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন ১৩ সাংবাদিক এবং একটি প্রতিষ্ঠান। সংবাদের মাধ্যমে ভুল তথ্য চলে গেলে তার পরিণতি ভয়াবহ হয় উল্লেখ করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল হয়ে সংবাদ পরিবেশনের অনুরোধ জানান। অভিবাসন খাত নিয়ে মানসম্পন্ন সাংবাদিকতার ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি আরও বেশি সংবাদ পরিবেশনের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, অভিবাসন খাতে সাংবাদিকতাকে স্বীকৃতি দিতে ২০১৫ সাল থেকে ব্র্যাক এ পুরষ্কারটি প্রবর্তন করে। এ বছর পঞ্চমবারের মতো এই পুরস্কার দেয়া হলো। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে আইওএম বাংলাদেশ এবং ব্র্যাকের অংশীদারত্বের ভিত্তিতে বাস্তবায়নকৃত প্রত্যাশা প্রকল্প থেকে এবার এই পুরস্কার দেয়া হয়। এ বছর সংবাদপত্র জাতীয় বিভাগে ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজ এর ওয়াসিম উদ্দিন ভূঁইয়া প্রথম স্থান অধিকার করেন। দৈনিক প্রথম আলোর মো. মহিউদ্দিন দ্বিতীয় এবং দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের আরাফাত আরা তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। সংবাদপত্র (আঞ্চলিক) ক্যাটাগরিতে বিজয়ীরা হলেন- সিলেটের দৈনিক জালালাবাদ এর আবু তাহের মো. তুরাব (প্রথম), দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের ফারুক মুনির (নুর ইসলাম) (দ্বিতীয়) এবং দৈনিক ফেনীর সময়ের মো. এমদাদ উল্লাহ। টেলিভিশন বিভাগে ডিবিসি টেলিভিশনের সাবিনা ইয়াসমিন (সাবিনা পুঁথি) প্রথম স্থান অধিকার করেন। যমুনা টিভির সালাউদ্দিন আহমেদ (আহমেদ রেজা) দ্বিতীয় এবং নিউজ২৪ টিভির আশিকুর রহমান (শ্রাবন) তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। রেডিও বিভাগে একমাত্র বিজয়ী বাংলাদেশ বেতারের মো. মোস্তাফিজুর রহমান। অনলাইন সংবাদপত্র বিভাগে প্রথম পুরষ্কারটি জিতেছেন প্রথম আলো অনলাইনের মানসুরা হোসাইন। দ্বিতীয় বিজয়ী তুরস্ক ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সীর ফ্রিল্যান্স রিপোর্টার কামরুজ্জামান এবং তৃতীয় হয়েছেন বাংলাট্রিবিউনের সাদ্দিফ সোহরাব। সাংবাদিকদের পাশাপাশি অভিবাসন খাতে অবদান রাখার প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে এ বছর সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বিভাগে পুরষ্কার চালু করা হয়। সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বিভাগে একমাত্র পুরষ্কারটি পেয়েছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম প্রবাস কথা। প্রত্যেক বিজয়ীকে পুরস্কার হিসেবে একটি ক্রেস্ট, স্বীকৃতির সনদ এবং পুরষ্কারের অর্থমূল্যের চেক প্রদান করা হয়।

আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর।
তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ।
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত।
শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি,
বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান।
ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী।
জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। 