Sobujbangla.com | রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ফ্রান্সের অব্যাহত সমর্থন চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ফ্রান্সের অব্যাহত সমর্থন চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি

  |  ১৯:৫৮, আগস্ট ০৮, ২০১৯

রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ‘জাতিগত নিধনের’ বিরুদ্ধে ফ্রান্সের শক্ত অবস্থানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বাংলাদেশে ঠাঁই নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ফ্রান্সের অব্যাহত সমর্থন কামনা করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের আবাসিক রাষ্ট্রদূত জেঁ-মারিন স্কুহ আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতির প্রেস সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন বাসসকে বলেন, ‘রাষ্ট্রদূতকে অভ্যর্থনা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে ফ্রান্স রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য দেশটির উপর চাপ বাড়াবে।
রাষ্ট্রপতি বৈঠককালে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার এবং এটা ধীরে ধীরে আরো জোরদার হচ্ছে।
বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসন আমলে ৭০ এর দশক থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বিরাজমান রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর ইউরোপের অন্যতম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ফ্রান্সের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বাংলাদেশে নয় মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের সময় আঁন্দ্রে মার্লো মতো শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীর সমর্থন ও যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গঠনে ফ্রান্সের সমর্থনের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের মুক্ত বিনিয়োগ নীতির কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট হামিদ আগামী দিনে এ দেশে ফ্রান্সের আরো বিনিয়োগ কামনা করেন। বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকা- সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ দেশ ইতিমধ্যেই উন্নয়নশীল দেশের কাতারে চলে গেছে এবং আগামীতে এ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ফ্রান্সের সমর্থন কামনা করেন।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দিনে দিনে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক বাড়ছে। তিনি আশা করেন আগামী দিনগুলোতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এটা আরো জোরদার হবে।’
রাষ্ট্রপতি সংশ্লিষ্ট সচিবরা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবনে এসে পৌঁছালে আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর)-এর একটি চৌকস অশ্বারোহী দল তাকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ