Sobujbangla.com | ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার অভিযোগ, নিন্দা জানালেন শাহরিয়ার আলম
News Head
 সারজিস বলেছেন আগামীর বাংলাদেশে দাসত্ব প্রত্যাশা করি না। জি এম কাদেরের বাসা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদও করা হয় রোহিত শার্মার দুই কীর্তি এক শটে বিএসএফ ২২ জনকে পাঠালো চুনারুঘাট সীমান্ত দিয়ে আরও। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল করেছে সিলেট জেলা মহিলা দল। সিলেটে কোম্পানীগঞ্জের বিরিজ গর্ত, দুর্ঘটনার শঙ্কা বলের চমক আফগানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের দারুণ শুরু,। সিলেটে বিক্ষোভ ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে। ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে এই দেশ সকলের। যেকোনো মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবো,। বাংলা দেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী গন অধিকার পরিষদ থেকেই হবে।

ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার অভিযোগ, নিন্দা জানালেন শাহরিয়ার আলম

  |  ১৯:৩৩, জুলাই ১৯, ২০১৯

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা। তার এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে চলছে কঠোর সমালোচনা। প্রিয়া সাহার অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ৬টা ২২ মিনিটে তিনি তার ফেসবুকের টাইমলাইনে লিখেছেন, ‘আমি জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থায় একাধিকবার ভরা হাউসে পৃথিবীর সব দেশের এবং বাংলাদেশ ও বাইরের দেশের এনজিওদের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। যেখানে শ্রদ্ধেয় রানা দাশ গুপ্তর মতো মানুষেরাও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দেয়া প্রিয়া সাহার অভিযোগের মতো কোন অভিযোগ বা প্রশ্ন কাউকে করতে দেখিনি। এর তীব্র নিন্দা জানাই।
প্রিয়া সাহা কেন এ ধরণের অভিযোগ করলেন তা খতিয়ে দেখা হবে উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘তার অভিযোগুলোও সরকার শুনবে এবং খতিয়ে দেখবে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে টাম্পও জানেন যে তার কাছেও মিথ্যা অভিযোগ করা হয়। মার্কিন প্রশাসন তাদের এখানকার দূতাবাসের মাধ্যমেই প্রতিনিয়ত তথ্য পেয়ে থাকে এবং আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগে থাকি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রিয়া সাহার সমালোচনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রিয়া সাহার সমালোচনা করতে গিয়ে অনেকে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সমালোচনা করছেন। এটাও ঠিক নয়। যেমনটি নয় প্রিয়া সাহার করা অভিযোগ। সমাজের সকল স্তরে যার বিচরণ এবং সরকারের বিভিন্ন মহলের সাথে যার যোগাযোগ তার একইরকম আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। ধর্মীয় সম্প্রতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ। অনেকেই ব্যক্তি স্বার্থে বা না বুঝে এটার ক্ষতি করে ফেলেন। সবার উচিত এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকা।
গত ১৮ই জুলাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন। প্রিয়া সাহা তখন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছে। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।
এ প্রসঙ্গে প্রিয়া সাহা আরও বলেন, ‘এখন সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি।
প্রিয়া সাহার ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রাম্প একটি চেয়ারে বসে আছেন। পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন প্রিয়া সাহা। প্রিয়ার বক্তব্য শুনে এক পর্যায়ে ট্রাম্প নিজেই সহানুভূতিশীল হয়ে তার সঙ্গে হাত মেলান। ট্রাম্প তখন জানতে চান, ‘এমন নিপীড়ন চালাচ্ছে কারা?’ জবাবে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘দেশটির মৌলবাদীরা এসব করছে। তারা সবসময় রাজনৈতিক আশ্রয় পাচ্ছে।
হোয়াইট হাউজে অনুষ্ঠিত ওই সাক্ষাৎকারে প্রিয়া সাহা ছাড়াও মিয়ানমার, নিউজিল্যান্ড, ইয়েমেন, চীন, কিউবা, ইরিত্রিয়া, নাইজেরিয়া, তুরস্ক, ভিয়েতনাম, সুদান, ইরাক, আফগানিস্তান, ইরাক, উত্তর কোরিয়া, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, ইরান ও জার্মানিসহ ২৬টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ