Sobujbangla.com | নির্দিষ্ট সময়ের আগে জন্ম নেয়া শিশুদের জন্য কৃত্রিম গর্ভ আবিষ্কার
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

নির্দিষ্ট সময়ের আগে জন্ম নেয়া শিশুদের জন্য কৃত্রিম গর্ভ আবিষ্কার

  |  ০৬:০০, এপ্রিল ২৬, ২০১৭

অপরিণত, প্রিম্যাচিউর কিংবা নির্দিষ্ট সময়ের আগে জন্ম নেয়া শিশুদের জন্য কৃত্রিম গর্ভ আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী। ভবিষ্যতে প্রিম্যাচিউর বা অকালে জন্ম নেয়া শিশুদের বাঁচিয়ে রাখতে এটা ব্যবহার করা যাবে বলে আশা করছে বিজ্ঞানীরা। এই ‘অতিরিক্ত-জরায়ু সহায়তা’ যন্ত্রটি ভেড়ার উপর পরীক্ষা করে সফলতা পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞানীরা জানান, তাদের উদ্দেশ্য হলো অপরিণত শিশুদের ফুসফুস এবং অন্যান্য প্রত্যঙ্গ যাতে সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে সেটা নিশ্চিত করা। ‘ন্যাচারাল কমিউনিকেশনস’ জার্নালে এই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। এই যন্ত্রটি মূলত একটি প্লাস্টিক ব্যাগ, যার ভেতরে রয়েছে কৃত্রিম অ্যামনিওটিক ফ্লুইড। এটার ভেতরের পরিবেশ অনেকটা জরায়ুর ভেতরের পরিবেশের মতো।

বিজ্ঞানীর ধারণা করছেন আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে মানবদেহে পরীক্ষা করে দেখার জন্য প্রস্তুত করা যাবে এটিকে।

ফিলাডেলফিয়ার শিশু হাসপাতালের চিকিৎসকগণ অবশ্য এটিকে অপরিণত শিশুদের জন্য উপযুক্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন। তাদের মতে, এটি এখনো মায়ের উদরের মতো যথপোযুক্ত নয়।

বর্তমানে অপরিণত শিশুদের কিংবা যাদের জন্ম ২৩ সপ্তাহের কাছাকাছি সময়ে তাদের ইনকিউবেটরে রাখা হয়। কখনো কখনো প্রয়োজনে শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য ভেন্টিলাইজেশন দেয়া হয়। কিন্তু ভেন্টিলাইজেশন সিস্টেম ব্যবহারে শিশুদের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিজ্ঞানী বলেন, কৃত্রিম এই ‘বায়োব্যাগে’ মায়ের জরায়ুর মতো গরম পানি এবং লবন যুক্ত করা হবে। যা অ্যামোনিয়োটিক ফ্লুইডের কাজ করবে। কৃত্রিম জরায়ুতে অক্সিজেন ও পুষ্টিকর উপাদান পৌছানোর জন্য ‘অ্যামিলিক্যাল কড’ ব্যবহার করা হবে।

বিজ্ঞানীরা আশা করছে, ২৩ সপ্তাহের আগে জন্ম নেয়া শিশুরা এই ব্যাগে থাকলে স্বাভাবিক নিয়মে ২৮ সপ্তাহে চোখ মেলে তাকাবে এবং কোন যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই নিঃশ্বাস নিতে পারবে। ২৮ সপ্তাহ পরে তাদের কৃত্রিম জরায়ু থেকে বের করে আনা সম্ভব হবে।

তবে এখনো কৃত্রিম জরায়ুর সফলতা পেতে অনেক সমস্যা পেরোতে হবে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। কারণ কৃত্রিম জরায়ুতে রযেছে সংক্রামনের ভয়। এছাড়া যন্ত্রের সাহায্যে পুষ্টিকর উপাদান সরবরাহ করাও সহজ হবে না, বরং এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে বিজ্ঞানীরা।

ইউনির্ভাসিটি অব অ্যাডিনবার্গের রিপ্রোডাকটিভ মেডিসিন অ্যান্ড সায়েন্সের অধ্যাপক কলিন ডানকান বলেন, ‘সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা। যদিও এখনো এক্ষেত্রে সফলতা পেতে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ