Sobujbangla.com | ইসি আহসান হাবিব বলেছেন, জাল ভোট হলে কেন্দ্রের কারও চাকরি থাকবে না।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

ইসি আহসান হাবিব বলেছেন, জাল ভোট হলে কেন্দ্রের কারও চাকরি থাকবে না।

  |  ২১:১১, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেছেন, কোনো কেন্দ্রে যদি একটি জাল ভোট হয় তবে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারসহ কারও চাকরি থাকবে না। তিনি আরও বলেছেন, প্রথমে তাদের সাসপেন্ড করা হবে, পরবর্তীতে চাকরিচ্যুতির জন্য যা যা করার দরকার তাই করা হবে। আমাদের অবস্থান এবার জিরো টলারেন্স। বুধবার দুপুরে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে পটুয়াখালীর চারটি এবং বরগুনার দুটি আসনের প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আহসান হাবিব খান বলেন, এখন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা আছে। অ্যাসিস্ট্যান্ট পোলিং অফিসার দেখবে চেহারা, ছবি মিলাবে, তারপর ভোট দিবে। একটি ব্যক্তি যেন না বলে আমার ভোট তো দেওয়া হয়ে গেছে। একটি কেস যদি পাওয়া যায় সেই প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারদেরকে কিন্তু সাথে সাথে সাসপেন্ড করা হবে এবং পরবর্তীতে চাকরিচ্যুক করা হবে। আমাদের যা যা করা দরকার সেটা করা হবে। তিনি আরও বলেন, সততা-স্বচ্ছতা এবং সুন্দর ভোটের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। এটার সহযোগিতা কিন্তু সবার দরকার। প্রার্থীদের পক্ষ থেকেও দরকার। তারা সহযোগিতা করবে এবং আমার সাথে সবাই পরীক্ষিত এখানে যারা আছেন তারা আমাদের অনেক ইলেকশনে সহযোগিতা করে প্রমাণ করেছে তারা সঠিক নির্বাচনের জন্য প্রশাসন, পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহযোগী হয়ে কাজ করছে। সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন , আপনাদের সহযোগিতা দরকার; আপনারা যারা আছেন তারা কেন্দ্রের সামনে ক্যামেরা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন আর কেন্দ্র ভাগ করে নিবেন, ভোট দিয়ে আসার পর জিজ্ঞাসা করবেন, ‘মা কেমন ভোট হল?’ মা এসে বলবে, বাবা এত সুন্দর ভোট কখনো দেখি নাই। এটা যদি বলে তাহলে ১০০ তে ১০০ প্রচার করেন। আবার যদি বলে, ‘বাবা আমার ভোট কে যেন দিয়ে গেছে, আর ভিতরে কে যেন সিল মারছে’ তখন আপনারা প্রচার করেন যেই হোক যার ফেভারেট হোক সেটা প্রচার করবেন যদি সৎ সাহস থাকে। আপনাদের এই সহযোগিতা দরকার। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই পর্যন্ত আপনারা সহায়তা করেছেন সাহায্য দিয়েছেন এবং দেখেন বড় পত্রিকায় এসেছিল লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুজনকে চাকরিচুত্যু হতে যাচ্ছে। আপনাদের মিডিয়ার খবর আমাদের পর্যন্ত আসতে হবে। সকলের সহযোগিতায় ইনশাআল্লাহ পৃথিবীর কাছে, বাংলাদেশ ভোটারদের কাছে,আমাদের নিজেদের মনের মধ্যে বিবেকের কাছে, যেন প্রমাণ করতে পারি এর আগে অতীতে এমন নির্বাচন হয় নাই। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এবং আগামী নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে অনুকরণীয় অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি মো.শহীদুল্লাহ, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নূর  কুতুবুল আলম,পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম, বিভিন্ন আসনের প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা,।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ