Sobujbangla.com | সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে, ধর্মঘটের ডাক দিলে কিছুই জানেন না মালিকরা।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে, ধর্মঘটের ডাক দিলে কিছুই জানেন না মালিকরা।

  |  ২০:৫৯, অক্টোবর ২১, ২০২২

খুলনাসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপির সমাবেশের আগে গণপরিবহণ বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানে না বলে দাবি করেছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মালিক-শ্রমিকেরা যে ধর্মঘট করে, তারা তো আমাদের বলেকয়ে করে না। কখন করে না করে সেটা তো আমি জানি না। এই ধরনের কোনো বিষয় যখন আমাদের নজরে আসে, তখন আমরা ব্যবস্থা নিই।’ শনিবার (২২ অক্টোবর) ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বিআরটিএ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- ‘যেখানেই সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল সমাবেশের ডাক দিচ্ছে, সেখানেই গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন, তারা তো জিম্মি হয়ে যাচ্ছেন। এটা কি নাগরিক অধিকার পরিপন্থি নয়? ময়মনসিংহে একই অবস্থা ছিল, এখন খুলনার মানুষ এই ভোগান্তিতে পড়েছে। এক্ষেত্রে বিআরটিএ’র কোনো ভূমিকা আছে কি না?’ এমন প্রশ্নের বিআরটিএর চেয়ারম্যান পাল্টা প্রশ্ন করেন, আপনার প্রশ্নটা কি এখানে প্রাসঙ্গিক? বাস বন্ধের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অফিশিয়ালি আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি না। কেননা কেউ এ বিষয়ে কোনো দাবি-দাওয়া আমাদের কাছে প্লেস করে নাই বা অভিযোগ দেয়নি। আমরা এ ব্যাপারে জানি না।’ এর আগে নিরাপদ সড়ক গড়তে সবাইকে আইন মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে। আমাদের যে জনবল রয়েছে দেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্যে যথেষ্ট নয়। আমরা সবাই যদি আইন মেনে চলি, তাহলে কোনো জনবলেরই দরকার হয় না। আইন মেনে যদি সড়কে চলি, তাহলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না। আইন না মানলে শাস্তির আওতায় আনছি। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা পদক্ষেপ নিচ্ছে, জেলা-উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা পদক্ষেপ নিচ্ছে, হাইওয়ে পুলিশ রয়েছে।’ তিনি বলেন, শ্রমিক সংগঠনেরও দায়িত্ব রয়েছে। সড়ক বিভাগেরও দায়িত্ব রয়েছে, ত্রুটিপূর্ণ রাস্তা ত্রুটিমুক্ত করতে। পথচারী ও যাত্রীদেরও দায়িত্ব রয়েছে। সব স্টেকহোল্ডার যদি ইতিবাচক না হয়, তাহলে গণপরিবহণে সফলতা আনা কঠিন। সড়কে নিরাপদ করতে ১১১ সুপারিশের অধিকাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে বলে দাবি করেন নূর মোহাম্মাদ মজুমদার। তিনি বলেন, বাকিগুলো বাস্তবায়নাধীন। যে সুপারিশ রয়েছে সেগুলোতে সব স্টেকহোল্ডারই দায়বদ্ধ। টার্মিনাল, বিশ্রামাগার তৈরির কাজ চলছে। সরকার ফুটওভার, জেব্রাক্রসিং করে দিয়েছে, কিন্তু মানুষ ব্যবহার করে না। লাইসেন্সবিহীন ও বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালকেরা। এজন্য পদ্মা সেতুতে উঠার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। মোট দুর্ঘটনার ৪০ শতাংশের বেশি ঘটে মোটরসাইকেলে। বিধি চূড়ান্ত করা হচ্ছে। আইন সংশোধন করা হচ্ছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ