Sobujbangla.com | ব্রিটিশ সিংহাসনে রাজা চার্লস, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা শনিবার,।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

ব্রিটিশ সিংহাসনে রাজা চার্লস, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা শনিবার,।

  |  ২০:৪৮, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২২

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এ বছরে তাঁর সিংহাসনে আরোহণের প্লাটিনাম জুবিলি উদযাপন করেছেন, যুক্তরাজ্য জুড়ে এ নিয়ে ছিলো নানা উৎসবের আয়োজন। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অভিষেক হয়েছিল ১৯৫৩ সালে, সেদিনও উৎসবে মেতেছিল বৃটিশরা। কেমন ছিলো সেই ঐতিহাসিক দিনটি? দিনটি ছিলো ১৯৫৩ সালের ২ জুন। সেদিন সবার দৃষ্টি লন্ডনের দিকে। খুশিতে, আনন্দে, উত্তেজনায় কাঁপছে এই শহর। শুধু লন্ডন নয়, পুরো কমনওয়েলথ জুড়েই সবার দৃষ্টি তখন ওই অনুষ্ঠানের দিকে। জুনের সেই সকালে আবহাওয়া কিছুটা ঠাণ্ডা, তবে সকালে যে বৃষ্টি ছিল তা থেমে গেছে, আকাশে সূর্য দেখা যেতে পারে এমন আশাও দেখা যাচ্ছিল। অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য রানি বের হবেন তার লন্ডনের ঠিকানা বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে। সেখান থেকে তিনি যাবেন ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে, যেখানে মুকুট পরানোর মাধ্যমে তার অভিষেক সম্পন্ন হবে। সেদিন শহরজুড়ে সব ভবন ঢাকা পড়ে গেছে অভিষেক উৎসবের সাজে, কেবল বাকিংহাম প্রাসাদের পূর্বদিকের সম্মুখভাগটাই যেন বাদ পড়েছিল। রানি এলিজাবেথের বয়স তখন ২৬। তিনি আবদার করেছিলেন যে, তার অভিষেক অনুষ্ঠানটি যেন সরাসরি টেলিভিশনে দেখানো হয়। রাজপরিবারের এই নয়শ’ বছরের ঐতিহ্য টেলিভিশনে দেখানোর কারণে যত মানুষ দেখার সুযোগ পান, তেমনটি এর আগে কখনো ঘটেনি। সাত ঘণ্টা ধরে সেদিনের অনুষ্ঠান সরাসরি দেখানো হয়েছিল টেলিভিশনে। ১৯৫৩ সালে অভিষেকের সময় কারুকাজ করা ঘন লাল রঙের ভেলভেটের ভারি পোশাকের সাথে কম বয়সী এই রানির কাঁধে চাপে দায়িত্বের বোঝা। দূর্দশাগ্রস্ত এবং ভঙ্গুর এক সাম্রাজ্যের নতুন সূচনার প্রতীক হিসেবে বিশ্বের সামনে তাকে তুলে ধরা হয়। পরিবর্তিত সময়ের মধ্যে এই রাজতন্ত্রকে ধরে রাখতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্যে সাম্রাজ্য হারানোর বাস্তবতার সাথে বৃটেনকে ধাতস্ত করাই ছিলো তার তাৎক্ষনিক চ্যালেঞ্জ। সাবেক উপনিবেশগুলো থেকে তখন অভিবাসীরা ব্রিটেনে ঢুকছিলো, তাই দেখা দিচ্ছিলো নতুন উত্তেজনা। রানি এলিজাবেথ তখন নতুন কমনওয়েলথকে ঘোষণা করেন দেশ ও জাতিগুলোর একটি জোট, যার ভিত্তি হবে সাম্য। জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত তিনি এই প্রতিষ্ঠানের জন্য উৎসর্গ করার অঙ্গীকার করেন। তার ক্ষমতাকালে বিশ্ব যে ব্যাপক রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে গেছে, রানি তা সবসময় উপলব্ধি করেছেন। ৬০ এর দশকে সমাজে যখন নারীদের ভূমিকা নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়, সেই ভূমিকাকে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন। পরিবর্তনের প্রক্রিয়া সহণীয় করতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ একজন সৎ ও অনুগত শাসক হিসেবে তার শাসনামলকে ধারাবাহিকতা দিতে চেয়েছেন। সিংহাসনে আরোহনের ৭০ তম বার্ষিকীতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ হয়ে উঠেছিলেন ব্রিটেনের স্থাপত্বের মূল প্রস্তর। যে প্রস্তর শক্ত হাতে ধরে রেখেছিলো দেশটির ভাবমূর্তিকে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ