শ্রমিকদের ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী।
মূল্যস্ফীতি থেকে সুরক্ষা দিতে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় পোশাক শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হবে। এতে জীবনযাত্রার চাপ কিছুটা কমবে। পোশাক শিল্প নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। শ্রমিক নেতারা বলেন, রফতানি বাড়লেও শ্রমিকের কোনো উন্নয়ন হয়নি। দ্রুততম সময়ে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গঠনেরও দাবি জানান তারা। করোনা পরবর্তী চাহিদা বেড়েছে পোশাকের। গেল বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত রফতানি প্রবৃদ্ধি গড়ে ৪৩ থেকে ৪৫ শতাংশ। সিপিডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাড়তি রফতানির চাহিদা পূরণে চাপ পড়েছে শ্রমিকের ওপর। ১৮ শতাংশ শ্রমিককেই ওভার টাইম করানো হয়েছে। বেড়েছে কর্মঘণ্টাও। পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধির সময়েও তেমন উন্নতি হয়নি শ্রমিকের কাজের পরিবেশের। সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, শ্রমিকরা বলেছেন, তাদের ওইটুকু না করে উপায় নেই। বাড়তি সময় কাজ না করলে কেবল নির্দিষ্ট সময়ের কাজের অর্থ দিয়ে তাদের চলে না। বাড়তি কাজের ফলে আয় কিছুটা বাড়লেও ব্যয়ের তুলনায় কমেছে প্রকৃত আয়। প্রবৃদ্ধিকালে মাসে শ্রমিকের আয় বেড়েছে ২ শতাংশেরও কম। কিন্তু ব্যয়ে বেড়েছে সাড়ে ৯ শতাংশ। তাই জিনিসপত্রের দাম বিবেচনায় মজুরি বাড়ানোর দাবি তোলেন শ্রমিক নেতারা। উদ্যোক্তারা বলেন, রফতানি বাড়লেও মুনাফা বাড়েনি। বরং, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধিতে উল্টো লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বায়াররা যদি বাড়তি মূল্যটা সমন্বয় করতো, তাহলে আমাদের রফতানি বৃদ্ধি পেতো কমপক্ষে ৫০ শতাংশ। তা হয়নি। হয়েছে ৩৫ শতাংশ। এর মানে, কাঁচামালের মূল্য যতোটা বৃদ্ধি পেয়েছে সেটাও তারা দেয়নি বলেই আমাদের লোকসান বেড়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, শিল্পের উন্নয়নে শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। বর্তমান মূল্যস্ফীতি থেকে সুরক্ষা দিতে পোশাক শ্রমিকদের ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, টিসিবির মাধ্যমে আমরা ১ কোটি মানুষকে কিছু পণ্য সস্তা দামে দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এসবের সাথে চালও যোগ করতে হবে। আমিও চেষ্টা করবো যাতে আমাদের শ্রমিকরা এই হিসাবের মধ্যে পড়ে। তাহলে কিছুটা হলেও তাদের কষ্ট কমবে। কারখানায় ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষে কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তবে নেতাদের মধ্যে সচেতনতা দরকার। ট্রেড ইউনিয়নের কারণে কারখানায় কাজের পরিবেশ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিতের তাগিদ দেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের এই ট্রেডকে এগিয়ে নিতে হবে।

আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর।
তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ।
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত।
শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি,
বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান।
ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী।
জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। 