Sobujbangla.com | হবিগঞ্জে আনন্দে মেতেছেন চা-শ্রমিকরা।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

হবিগঞ্জে আনন্দে মেতেছেন চা-শ্রমিকরা।

  |  ১৯:৩২, আগস্ট ২৮, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে দৈনিক মজুরি ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ টাকা করায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে হবিগঞ্জের ২৩টি চা বাগানের শ্রমিকরা আনন্দ উৎসব করছেন। তারা কাজে যোগ দেবেন আগামীকাল সোমবার। রোববার সকালে বাগানগুলোতে আনন্দ মিছিল বের করেন চা শ্রমিকরা। এ ছাড়া বাগানের বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হয়ে তারা আনন্দ উৎসব করছেন। দুপুর ১২টায় চুনারুঘাট উপজেলার চান্দপুর চা বাগানে দেখা যায়, শ্রমিকরা কয়েকটি স্থানে জড়ো হয়ে নৌকা প্রতীক হাতে নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। থেমে থেমে মিছিল ও সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে আনন্দ উৎসব করছেন। মিছিলে অংশ নেওয়া চা শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হবিগঞ্জের লস্করপুর ভ্যালির ২৪টি চা বাগানের মধ্যে শুধু লস্করপুর বাগানের কিছু শ্রমিক রোববার কাজে যোগ দিয়েছেন। বাকি ২৩টি বাগানের শ্রমিকরা আনন্দ উৎসব করছেন। তারা সোমবার কাজে যোগ দেবেন। চান্দপুর চা বাগানের শ্রমিক অনীল মুড়া বলেন, না খেয়ে থেকে ১৫ দিন কর্মবিরতি পালন করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের মজুরি বাড়িয়ে দিয়েছেন। এজন্য আমরা আনন্দ মিছিল করছি। কাল কাজে যোগ দেব। অতীতের মতো ভবিষ্যতেও আমরা শেখ হাসিনার পাশে থাকব। বাগানটির পঞ্চায়েতের সভাপতি সাধন সাঁওতাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা শ্রমিকদের মা, তার দেওয়া সিদ্ধান্তকে আমরা সাদরে মেনে নিয়েছি, তাই সাধারণ শ্রমিকরা আনন্দ মিছিল করছেন। ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে আন্দোলনে নামেন হবিগঞ্জের লস্করপুর ভ্যালির ২৪টিসহ দেশের ১৬৬ চা বাগানের শ্রমিকরা। দিনে দুই ঘণ্টা করে টানা চারদিন পালন করা হয় কর্মবিরতি। এরপর ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পুরোদমে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন চা বাগানের শ্রমিকরা। ১৯ আগস্ট রাতে মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার বিষয়ে একটি চুক্তি হলেও সেটি প্রত্যাখ্যান করে তারা আন্দোলন চালিয়ে যান। কয়েক দফা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হলেও এ সমস্যার সমাধান হয়নি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ