স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে ‘চরম উদাসীন’ সিলেটবাসী
কয়েক মাস তুলনামূলক কম থাকার পর চলতি জানুয়ারি মাস থেকেই সিলেট বিভাগে করোনা ভাইরাসের সূচক প্রতিদিন ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। বিপরীতে বিভাগজুড়ে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে চরম উদাসীনতা দেখা গেছে। বিভাগে গত ১৪ দিনে ৩৭৮ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে এ সংখ্যা ছিল ১০৬ জন। গত প্রায় চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে গতকাল শুক্রবার। এদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৮৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৭ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ। গত বছর ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর টালমাটাল ছিল সিলেটের অবস্থা। হাসপাতালে রোগীদের ভিড়, অক্সিজেন সংকটসহ নানা পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছে মানুষকে। সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুসারে, গত ডিসেম্বরের পুরো মাসে যেখানে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন ১০৬ জন, সেখানে চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম ১৪ দিনেই শনাক্ত হয়েছেন ৩৭৮ জন। এদিকে,করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার নতুন করে ১১ দফা স্বাস্থ্যবিধি জারি করলেও অনেকে তা মানছে না। গত বৃহস্পতিবার থেকে এসব নির্দেশনা কার্যকর হলেও সিলেট নগরীর বিভিন্ন মার্কেট, দোকান, খাবারের রেস্টুরেন্ট, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্য বিভাগ, সিলেটের কোভিড-১৯ কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের দৈনিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ডিসেম্বর মাসে সিলেট বিভাগে ১০৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। মারা যান ৩ জন। গত প্রায় চার মাসে বেশ কয়েকদিন গেছে। কোনো রোগীই শনাক্ত হননি নমুনা পরীক্ষায়। কিন্তু পরিস্থিতি এখন বদলাতে শুরু করেছে। প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রমণের হার। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুসারে, চলতি ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ৩৭৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১ জানুয়ারি ৮ জন শনাক্ত হন, শনাক্তের হার ছিল ১.৩১ ভাগ, ২ জানুয়ারি ৩জন, শনাক্তের হার ছিল ০.৪২ ভাগ, ৩ জানুয়ারি ৭ জন, শনাক্তের হার ছিল ১.২০ভাগ , ৪ জানুয়ারি ৯জন, শনাক্তের হার ১.৫২ ভাগ। ৫ জানুয়ারি ১৯জন, শনাক্তের হার ছিল ৩.১৪ ভাগ। ৬ জানুয়ারি ২২জন, শনাক্তের হার ছিল ২.৮৮ ভাগ, ৭ জানুয়ারি ১৩ জন, শনাক্তের হার ছিল ১.৬১ ভাগ, ৮ জানুয়ারি ১৭জন, শনাক্তের হার ছিল ৩.০৯ ভাগ, ৯ জানুয়ারি ২৩জন, শনাক্তের হার ছিল ২.৮৫ ভাগ, ১০ জানুয়ারি শনাক্ত হন ৩২জন, এদিন শনাক্তের হার ছিল ৪.৮০ ভাগ, ১১ জানুয়ারি শনাক্ত হন ৩৬জন, এদিন শনাক্তের হার ছিল ৪. ১০ ভাগ,১২ জানুয়ারি শনাক্ত হন ৫১জন, এদিন শনাক্তের হার ছিল ৫. ১৭ভাগ, ১৩ জানুয়ারি শনাক্ত হন ৬১জন, শনাক্তের হার ছিল ৬. ৬২ ভাগ ও গতকাল ১৪ জানুয়ারি শুক্রবার ৮৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষার পর শনাক্ত হয়েছেন ৭৭জন, শনাক্তের হার ৮দশমিক ৮৬ভাগ। এখন প্রতিদিন বিভাগের চার জেলা মিলিয়ে ৮ থেকে ৯শ’ মানুষের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। সরকারের জারি করা বিধি-নিষেধে বলা হয়েছে, অফিস-আদালত, দোকান, শপিং মল, কাঁচাবাজার, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ জনসমাগম বেশি হয় এমন স্থানে সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক না পরলে আর্থিক জরিমানাসহ জেলের বিধান করা হয়েছে। কিন্তু, সিলেটে স্বাস্থ্যবিধি মানায় দেখা গেছে উদাসীনতা। গতকাল শুক্রবার সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। নগরীর আম্বরখানা, জিন্দাবাজার, বন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এবং বিভিন্ন কাঁচাবাজারে মানুষকে গাদাগাদি করে চলতে দেখা গেছে। এসব স্থানে বেশিরভাগ মানুষই মাস্ক পরেননি। সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, দেশে বেশ কিছুদিন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখন আবার বাড়ছে। সিলেট বিভাগেরও একই অবস্থা। তবে, স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারের বিধিনিষেধ মানাতে প্রশাসন মাঠে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর।
তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ।
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত।
শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি,
বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান।
ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী।
জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। 