নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন বলতে কিছু নেই : জাকের পার্টি
জাকের পার্টির চেয়ারম্যান পীরজাদা খাজা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক চলতেই থাকবে। ইতিমধ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে সংলাপের আয়োজন করেছেন। বাংলাদেশর প্রতিটি মানুষ ব্যাক্তিগতভাবে কোন না কোন দলকে মন থেকে সমর্থন করেন। কারো সমর্থনের বিষয়টি প্রকাশ পায় আর কারো প্রকাশ পায় না। তাই নিরপেক্ষ বলতে কিছু নেই। তাই এ অবস্থার উত্তরনে ভোট গ্রহন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনতে হবে। প্রযুক্তির যুগে প্রযুক্তির প্রয়োগ করে ভোটগ্রহন প্রক্রিয়া ও ফলাফল বিতর্কমুক্ত রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে ভোট গ্রহনে ব্লক চেইন পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটাতে হবে। একইসাথে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ দলের সদস্য ও তালিকাভুক্ত ভোটারদের আইডি কার্ড,ছবি ও স্বাক্ষরসহ তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দান করতে হবে, নির্বাচন কমিশন তা ডাটাবেজ তৈরী করে মোবাইল এপের মাধ্যমে জনগনের জন্য উন্মুক্ত করে দিবে। এবং নির্বাচনী ব্যয় সীমার বাধ্যবাধকতা তুলে দিতে হবে। সোমবার বিকেলে সিলেট সরকারী আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের মহাপবিত্র বিশ্ব উরশ শরীফ উপলক্ষে জাকের পার্টি সিলেট বিভাগীয় দাওয়াতী ইসলামী সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাকের পার্টির সিলেট বিভাগীয় সভাপতি সৈয়দ আবুল খায়ের বাবলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পার্টির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান ড. খাজা সায়েম আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী। পীরজাদা বলেন, ব্লকচেইন পদ্ধতিতে ভোটদান প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হবে না। ব্লকচেইন মূলত অর্থ লেনদেনের টেকনোলজি। এতে সমস্ত তথ্য উপাত্ত সুরক্ষিত থাকে। কোন গরমিল সম্ভব নয়। ব্লকচেইন একমাত্র টেকনোলজি, যা হ্যাক করা যায় না কোনভাবেই। তিনি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্য এবং ভোটারদের ডাটাবেজ তৈরি প্রসঙ্গে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি নিজ নিজ দলের সদস্য ও ভোটারদের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকার ডাটাবেজ তৈরি করে তা নির্বাচন কমিশনে জমা দেয় এবং এবং নির্বাচন কমিশন এই ডাটাবেজ মোবাইল অ্যাপ তৈরির মাধ্যমে তা সর্বস্তরের জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়, তাহলে রাজনৈতিক দলের ভোট সংখ্যা নিয়ে আগাম ধারণা তৈরী হয়ে যাবে।ভোটদানের পরে ফলাফল নিয়ে বিতর্ক থাকবে না। জাকের পার্টি চেয়ারম্যান নির্বাচনী ব্যয় সীমার বাধ্যবাধকতা তুলে দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, গোপনে সবাই বিপুল অঙ্কের টাকা নির্বাচনে ব্যয় করেন।ফলাফলকে প্রভাবিত করেন। তিনি বলেন, জাকের পার্টি টাকা দিয়ে ভোট আকর্ষণ কে সমর্থন করে না। ‘৭৩ এর আগে এমন ছিল না। মহান স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হয়ে তৎকালীন সরকারদলীয় প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামানকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করেছিলেন। কোটি কোটি টাকা খরচ করেও ওয়াহিদুজ্জামান বঙ্গবন্ধুর সাথে পেরে উঠেন নি। বঙ্গবন্ধু প্রেম প্রীতি ভালোবাসা দিয়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। ফলে টাকা ও পেশী শক্তি প্রেম,প্রীতি ও ভালোবাসার কাছে পরাভূত হয়েছিল। সে ধারা আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। যদি সে ধারা ফিরিয়ে আনা না যায়, তাহলে কখনই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. খাজা সায়েম আমীর ফয়সল বলেন, ১৯৪৬ সালের খাজা এনায়েতপুরী (র.) অনানুষ্ঠানিকভাবে জাকের পার্টির ঘোষনা করেছিলেন। এর পর আমার দাদা আনুষ্ঠানিকভাবে জাকের পার্টির যাত্রা শুরু করেন। এটি সকল শ্রেণী পেশার মানুষের পার্টি। ইসলামে ভেদাবেদ নেই, আমাদের পার্টিতেও ভেদাবেদ নেই। জাকের পার্টি নির্যাতিত নিপিড়িত মানুষের পার্টি। আমরা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। দেশে পর্যাপ্ত পরিমান অর্থ রয়েছে। এই অর্থের সুষম বণ্ঠন করলে দেশে আর দারিদ্রতা থাকবেনা। কেউ খাবে কেউ খাবেনা, তা হতে পারেনা। আমরা একটি অন্তর্ভূক্তমুলক সমাজ গড়ে তুলতে চাই। তিনি বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে জাকের পার্টির দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। এটি অলি আউলিয়াদের পার্টি। তাই ইসলামের স্বার্থে জাকের পার্টিকে শক্তিশালী করতে হবে। তিনি বলেন, একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক মজবুত অর্থনীতির বাংলাদেশ গঠনে জাকের পার্টির সকল নেতাকর্মীকে এগিয়ে আসতে হবে। বাঙালি জাতির উন্নয়ন, জাতীয়তাবাদী চেতনা এবং ইসলামের পরিপূর্ণতা – মহান এ লক্ষ্য নিয়ে জাকের পার্টি কাজ করছে। জাকের পার্টির সকল সদস্য আদর্শ ও নীতি নিয়ে চলে। আমরা জ্বালাও পোড়াওয়ের সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা কাউকে কোণঠাসা করার জন্য মিথ্যা অপবাদ দেই না। তিনি হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, এখন বাংলাদেশে যে বৈষম্য দেখি তা কল্যাণকর নয়। একটি শ্রেণীর কাছে আসমান ছোঁয়া সম্পদ। বিপুল জনগোষ্ঠী এর ধারে কাছে নেই।

আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর।
তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ।
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত।
শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি,
বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান।
ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী।
জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। 