Sobujbangla.com | কক্সবাজারে নারী পর্যটককে ধর্ষণের প্রমাণ পেয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

কক্সবাজারে নারী পর্যটককে ধর্ষণের প্রমাণ পেয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ

  |  ২০:০৬, ডিসেম্বর ২৬, ২০২১

কক্সবাজারে নারী পর্যটককে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. জিল্লুর রহমান। তবে ধর্ষণের ঘটনাটি সংঘবদ্ধ কিনা এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত কিছু বলতে পারেননি। এদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে আলোচিত ধর্ষণকাণ্ডে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ালো ছয়ে। ধর্ষণের বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, এ ঘটনা নিয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। যে সকল আলামত ও প্রমাণপত্র আমাদের হাতে এসেছে এখানে ধর্ষণের বিষয়টি পরিস্কার। ভিকটিমের আদালতের জবানবন্দি এবং প্রমানপত্র ধর্ষণের ঘটনাটি প্রমাণ করতে যথেষ্ট। তিনি আরও বলেন, মোটরসাইকেল নিয়ে একজনই তাকে (ওই নারীকে) হোটেলটিতে নিয়ে গিয়েছিল। ওই একজনই তাকে ধর্ষণ করেছে বলে আদালতে দেয়া জবানবন্দি এবং আমাদের (পুলিশের) জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে। ঘটনার আগে যে ঝুপড়ি ঘরে নিয়ে গিয়েছিল ওখানে পূর্ব থেকে আরও দুইজন উপস্থিত ছিল। এই তিনজনের বাইরে পূর্ব থেকে চাঁদা দাবি এবং মোবাইল ফোনে কথোপকথনের সঙ্গে অনেকেই জড়িত। উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের এক মার্কেটে ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর সঙ্গে এক যুবকের ধাক্কা লাগে। এ ঘটনায় স্বামী ও সন্তানসহ ওই নারীকে পর্যটন গলফ মাঠের সামনে নিয়ে যান কয়েকজন যুবক। পরে স্বামী ও সন্তানকে আলাদা করে তাকে অটোরিকশাযোগে মাঠের পেছনে নিয়ে যান তারা। এরপর সেখানকার একটি ঝুপড়ি ঘরে ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন তারা। একপর্যায়ে ওই নারীকে কক্সবাজারের মোটেল জোনের আবাসিক হোটেল জিয়া গেস্ট ইন-এ নিয়ে যান যুবকরা। এরপর হোটেলটির তৃতীয় তলার একটি কক্ষে দ্বিতীয়বার তাকে ধর্ষণ করেন তারা। ৯৯৯-এ তার ফোন পেয়ে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগীকে সেখান থেকে উদ্ধার করে র‌্যাব। পরে ভুক্তভোগী নারীর তথ্যের ভিত্তিতে পর্যটন গলফ মাঠ থেকে তার স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয়। আবাসিক হোটেলটির সিসিটিভি ফুটেজ এই ঘটনার সত্যতা মেলে। পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয় ট্যুরিস্ট পুলিশকে। এরপর আসামিদের ধরপাকড়ে অভিযান শুরু হয়।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ