Sobujbangla.com | বাবার কবরে শায়িত অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।
News Head
 সারজিস বলেছেন আগামীর বাংলাদেশে দাসত্ব প্রত্যাশা করি না। জি এম কাদেরের বাসা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদও করা হয় রোহিত শার্মার দুই কীর্তি এক শটে বিএসএফ ২২ জনকে পাঠালো চুনারুঘাট সীমান্ত দিয়ে আরও। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল করেছে সিলেট জেলা মহিলা দল। সিলেটে কোম্পানীগঞ্জের বিরিজ গর্ত, দুর্ঘটনার শঙ্কা বলের চমক আফগানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের দারুণ শুরু,। সিলেটে বিক্ষোভ ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে। ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে এই দেশ সকলের। যেকোনো মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবো,। বাংলা দেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী গন অধিকার পরিষদ থেকেই হবে।

বাবার কবরে শায়িত অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।

  |  ১৯:৫৯, ডিসেম্বর ০১, ২০২১

আজিমপুর কবরস্থানে বাবার কবরে চিরঘুমে শায়িত হলেন শিক্ষার প্রদীদ জ্বেলে যাওয়া জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। বুধবার বাদ আসর নামাজে জানাজা শেষে তার মরদেহ আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে, দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মরদেহে শ্রদ্ধা জানানো হয়। বাংলা একাডেমিতেও এদিন দুপুর ১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে শ্রদ্ধা নিবেদন। মঙ্গলবার দুপুরে মারা যান ৮৭ বছর বয়সী নজরুল গবেষক রফিকুল ইসলাম। তার বাবা রেলওয়ের চিকিৎসক জুলফিকার আলি ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর মারা যাওয়ার পর তাকে এই একই কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল। ফুসফুসে পানি জমায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ের সব সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন রফিকুল ইসলাম। রফিকুল ইসলামের ছেলে বর্ষণ ইসলাম তার বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, শুক্রবার উত্তরা ১০ সেক্টর ৫ রোডের ৪৪ নম্বর বাড়িতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পর্যন্ত বাংলাদেশের পথ পরিক্রমার অগ্নিসাক্ষী রফিকুল ইসলাম ৮৭ বছর বয়সে মঙ্গলবার মারা যান। এই জাতীয় অধ্যাপকের মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। শ্রদ্ধা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও আতিকুল ইসলাম। শহীদ মিনারে এক ঘণ্টা শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রফিকুল ইসলামের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স নেয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে। সেখানে জানাজায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরও উপস্থিত ছিলেন। জানাজার পর কফিন নেয়া হয় আজিমপুর কবরস্থানে। জীবদ্দশায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন। নজরুল গবেষণায় পার করেছেন জীবনের বড় একটা অংশ। স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত এই শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম নজরুল অধ্যাপক এবং নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের প্রথম পরিচালক। ২০১৮ সালে রফিকুল ইসলামকে জাতীয় অধ্যাপকের মর্যাদা দেয় সরকার। ১৯৩৪ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা গ্রামে রফিকুল ইসলামের জন্ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে লেখাপড়া শেষে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাতত্ত্বে উচ্চশিক্ষা নেন। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেয়া রফিকুল ইসলাম সেই সময়ের দুর্লভ আলোকচিত্র ধারণ করেছেন নিজের ক্যামেরায়। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর হাতে হয়েছেন নির্যাতিত। বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের এই প্রত্যক্ষ সাক্ষী সেইসব ইতিহাস গ্রন্থিত করে গেছেন তার লেখায়। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে প্রথম গ্রন্থ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের ইতিহাসের প্রথম গ্রন্থটিসহ প্রায় ৩০টি বই তার হাত দিয়েই পেয়েছে বাংলাদেশ। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য রফিকুল ইসলাম ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসেরও উপাচার্য ছিলেন। এক সময় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করা রফিকুল ইসলামকে গত ১৮ মে বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছিল সরকার। আমৃত্যু তিনি সেই দায়িত্বে ছিলেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ