প্রাণ ফিরছে পর্যটনখাতে।
দীর্ঘদিন পর ফের প্রাণ ফিরেছে সিলেটের পর্যটন শিল্পে।সঙ্কট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সম্ভাবনাময় খাতটি।দুর্দিন কাটছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ও।সবখানেই চাঙাভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।অথচ করোনাভাইরাসের কারণে সারা দেেেশ ন্যায় গভীর সংকটে পড়েছিল সিলেটের পর্যটনশিল্পও। প্রায় দেড় বছরের দীর্ঘ অচলাবস্থায় মুখ থুবড়ে পড়ে সম্ভাবনাময় এই খাত। মানুষের আয় কমে যাওয়া, প্রণোদনা নিয়ে জটিলতাসহ নানা কারণে এই খাতের পুনর্জাগরণ নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন উদ্যোক্তারা। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটনশিল্প। সরকারি প্রণোদনা কিংবা বড় বড় বিনিয়োগ নয়, বরং সাধারণ পর্যটকরাই চাঙা করে তুলছেন এই খাত। করোনার বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পরই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ছেন পর্যটকরা। সিলেটের পর্যটন এলাকাগুলোয় উপচে পড়া ভিড়। পর্যটকদের কাছে দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় জায়গা সিলেট। এই বিভাগের চার জেলায়ই সারা বছরই পর্যটক সমাগম লেগে থাকে। তবে করোনার বিধিনিষেধ ওঠার পর পর্যটকদের ঢল আরও বেড়েছে। ঘরবন্দি থেকে হাঁপিয়ে ওঠা মানুষ দীর্ঘদিন পর মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস ফেলার সুযোগ পেয়েছেন। পর্যটক ফেরায় এই খাতসংশ্লিষ্টদের মুখে হাসিও ফিরেছে। টাঙ্গুয়ার নৌকাচালক, জাফলংয়ের ফটোগ্রাফার, বিছনাকান্দির প্রসাধনসামগ্রী বিক্রেতা থেকে শুরু করে বড় রিসোর্টের উদ্যোক্তারাও এখন দুর্দিন কাটিয়ে উঠছেন। তবে সব জায়গাতেই উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। উপেক্ষিত থাকছে পরিবেশের সুরক্ষাও। অবাধে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পেয়ে পর্যটকরা মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।বেশির ভাগই পরছেন না মাস্ক। আবার বন-হাওর-নদী-সমুদ্রে দল বেঁধে হইহুল্লোড় করে, শব্দযন্ত্র ব্যবহার করে গান বাজিয়ে আর ময়লা-আবর্জনা ফেলে পর্যটকরা নষ্ট করছেন পরিবেশ। ফলে করোনাকালীন পর্যটনকেন্দ্রগুলোর পরিবেশের উন্নতি হলেও বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর তা আবার হুমকিতে পড়েছে। এমনিতেই পাহাড়-টিলা, ঝরনা-ছড়া, হাওর-বাঁওড় আর সবুজের প্রাচুর্যে ভরা সিলেট। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এ বিভাগে ছড়িয়ে আছে দৃষ্টিনন্দন সব পর্যটনকেন্দ্র। সবুজে মোড়া পাহাড়ের কোলঘেঁষা পাথুরে নদী, বন, চা-বাগান; কী নেই এখানে। বৈচিত্র্যে ভরা সৌন্দর্য দেখতে ছুটে আসেন পর্যটক আর ভ্রমণপ্রিয় মানুষ। সারা বছরই পর্যটনকেন্দ্রে থাকে উপচে পড়া ভিড়। তবে কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) পরিস্থিতিতে মুখ থুবড়ে পড়েছিল পর্যটন খাত। অথচ বাংলাদেশের দ্রুতবর্ধনশীল পর্যটন মার্কেটের মধ্যে সিলেট অন্যতম। তবে আশার কথা হচ্ছে, কয়েক মাস ধরে আবারও দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন। ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। এখানকার হাওর, ঝরনা, পাথুরে নদী আর জলার বন বর্ষাকালেই দেখা দেয় সবচেয়ে মনমুগ্ধকর রূপে। বর্ষায় সিলেট অঞ্চলের চা-বাগানগুলো হয়ে ওঠে আরও সজীব। তবে এবার বর্ষার প্রায় পুরোটা কেটেছে ঘরবন্দি হয়ে করোনার বিধিনিষেধে। এখন পর্যটকরা সবচেয়ে বেশি ভিড় করছেন সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে। এ ছাড়া গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, মায়াবী ঝরনা, জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখাল, শাপলা বিল, রাজবাড়ি ও শ্রীপুর, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর, কানাইঘাটের লোভাছড়া ও নগরীর চা-বাগানগুলোতে প্রতিদিনই পর্যটকদের সমাগম হচ্ছে। বিশেষত শুক্র ও শনিবার পর্যটকের ভিড়ে এসব স্থান মুখর হয়ে উঠছে।

আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর।
তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ।
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত।
শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি,
বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান।
ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী।
জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। 