তৃতীয় ধাপের ইউপি ভোটকে মডেল বলা যেতে পারে: ইসি সচিব।

রোববার তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে মডেল ভোট বলা যেতে পারে বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনে ভোট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এসময় ইসি সচিব বলেন, সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে, অংশগ্রহণমূলক ইউপি ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া সহিংসতা কম হয়েছে মন্তব্য করে সচিব বলেন, এই ধাপে ইউপি নির্বাচনকে মডেল ভোট বলা যেতে পারে। সচিব বলেন, কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। এতে ২৪ জন আহত হয়েছে। অনিয়মের অভিযোগে ২১ টি ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। ৭০ শতাংশের বেশি ভোট কাস্ট হবার সম্ভাবনা আছে বলে তিনি জানান। নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবাই কাজ করায় এই ধাপে সহিংসতা কম হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। “আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশনের ল’ অ্যান্ড ফোর্সিং এজেন্সি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা ভালো কাজ করেছেন। প্রার্থী ও তাদের ফলোয়ার্স যারা তারা কিছুটা হলেও সহনশীল ছিলেন। “আমি তো মনে করি আজকে যে নির্বাচন হয়েছে, এটা একটি মডেল হতে পারে।” এদিন এক হাজার ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও ১৪টি ইউপিতে সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হওয়ায় ৯৮৬টি ইউপিতে ও ৯টি পৌরসভায় নির্বাচন হয়। এরমধ্যে ভোটকেন্দ্র প্রিসাইডিং অফিসারদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ২১টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ইভিএমের মাধ্যমে পৌরসভায় ৫৮% এবং ইউনিয়ন পরিষদে ৭০% এর উপরে ভোট পড়তে পারে বলে ধারণা দেন তিনি। ইসির ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর, ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান এবং পরিচালক (জনসংযোগ) ও যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। আজ এক হাজার ইউপিতে ভোট গ্রহণের দিন আগের ধাপের চেয়ে গোলযোগ-সহিংসতা তুলনামুলক কম হলেও লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নেত্রকোনা, সাতক্ষীরা, ফেনীসহ অনেক এলাকায় অনিয়ম, দখলসহ নানা অভিযোগের ঘটনা ঘটেছে।