Sobujbangla.com | স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সংসদে প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সংসদে প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত।

  |  ১৯:১০, নভেম্বর ২৫, ২০২১

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আনীত প্রস্তাব সাধারণ বিধি ১৪৭ সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। গত বুধবার জাতীয় সংসদে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উত্থাপন করেন। তিনি প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এর আগে সংসদে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দেন। প্রস্তাবটির ওপর গত দুই দিনে সরকারি ও বিরোধী দলের মোট ৫৯ জন সংসদ সদস্য ১০ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট আলোচনা করেন। এর পরই স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সেটি ভোটে দিলে তা কণ্ঠভোটে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। সুবর্ণজয়ন্তীর বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে কৃষিমন্ত্রী  ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নের ভিত্তি রচিত হয়েছে। তাতে অচিরেই বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মুজিববর্ষে পাঠানো বার্তায় বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্টও এদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বলে অভিহিত করেছেন। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার অমোঘ বাণী অনুরণিত হয়েছে-‘কেউ আমাদের দাবাইয়া রাখতে পারবেনা’ তা প্রতিটি বাঙালিকে সাহসে বলিয়ান করে। আর রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়। আলোচনায় অংশ নিয়ে অন্য সদস্যরা বলেন,  বঙ্গবন্ধু জাতিকে শুধু স্বাধীনতা উপহার দিয়ে ক্ষ্যান্ত থাকেননি। এ মহান রাষ্ট্রনায়ক যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ধাপে ধাপে ক্ষুধা- দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত করার কাজ শুরু করেন। দেশকে এগিয়ে নিয়েও যাচ্ছিলেন। কিন্তু ঘাতকরা তা হতে দেয়নি। তবে বঙ্গবন্ধু বাঙালির হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন। তার আদর্শের ভিত্তিতে আজ দেশ পরিচালিত হচ্ছে। ফলে দেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হতে চলেছে। তারা বলেন, জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশ আবার মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ধারায় ফিরে এসেছে। খুনিদের বিচার হয়েছে। রায় কার্যকর হয়েছে। এমনকি ‘৭১ এর মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হয়েছে। এখনও চলছে। তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বক্তারা আরও বলেন, জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর আজীবন স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ।ঘাতকরা তা হতে দেয়নি। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা পিতার সে স্বপ্নের পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, চিফ হুইপ নুর-ই- আলম চৌধুরী, বিরোধী দলের উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, হুইপ ইকবালুর রহিম,  সরকারি দলের  সদস্য আমির হোসেন আমু, বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, নুরুল ইসলাম  নাহিদ,  আ, ফ, ম রুহুল হক, আ, স, ম ফিরোজ, এ বি তাজুল ইসলাম, মোতাহার হোসেন, প্রাণ গোপাল দত্ত,  শাজাহান খান,  আবুল হাসনাত আবদুল্যাহ, এ, কে এম, রহমতুল্যাহ, নজরুল ইসলাম  চৌধুরী, নারায়ন চন্দ্র  চন্দ, তানভির শাকিল জয়, মৃণাল কান্তি দাস, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল,  বেগম শবনম জাহান, নাহিদ এজাহার খান, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাসদের শিরীন আখতার, জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম  মাহমুদ, ফখরুল ইমাম, রুস্তম আলী ফরাজী,  মুজিবুল হক, রওশন আরা মান্নান,  বিএনপির হারুনুর রশীদ, রুমীন ফারহানা, গণফোরামের মোকাব্বির খান এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশের  আবদুল মান্নান।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ