বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে এক হাজার ছাউনি করছে সরকার।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে ‘লাইটার অ্যারেস্টার’ সংবলিত বজ্রপাত-নিরোধক কংক্রিটের ছাউনি (শেল্টার) নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকায় আইইবি ভবনে আয়োজিত ‘বজ্রপাত ও বজ্রপাতের কারণ : নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা এবং ক্ষয়ক্ষতি কমানো’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান মন্ত্রী। এনামুর রহমান বলেন, দেশের হাওর অঞ্চলসহ বজ্রপাতপ্রবণ ২৩ জেলায় এগুলো নির্মাণে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে হাওর এলাকায় ১ কিলোমিটার পরপর বজ্রপাত-নিরোধক এক হাজার কংক্রিটের ছাউনি নির্মাণ করা হবে। এক কিলোমিটার পর পর থাকবে একেকটি শেল্টার, যাতে মেঘের গুড়ুম গুড়ুম আওয়াজ পেলেই মাঠের কৃষকসহ মানুষজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন। এনামুর রহমানের আশা, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা কমে আসবে। তার কথায়, ‘বজ্রপাত ঠেকানো সম্ভব নয়। তবে এতে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে আমরা তিনটি পদক্ষেপ নিচ্ছি। এর একটি হলো আরলি ওয়ার্নিং সিস্টেম। বজ্রপাতপ্রবণ এলাকায় এই মেশিন বসানো হবে। প্রাথমিকভাবে ৭২৩টি যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। বজ্রপাতের ৪০ মিনিট আগেই সংকেত দেবে এটি। যারা খোলা মাঠে কাজ করেন বা মাছ ধরেন, তারাই বজ্রপাতে বেশি মৃত্যুবরণ করেন। তাদের জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, বজ্রপাত-নিরোধক কংক্রিটের শেল্টার নির্মাণ করব আমরা। তৃতীয়ত, জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হবে। আইইবি’র যন্ত্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার ইয়াসির আরাফাত এবং আইইবি’র যন্ত্রকৌশল বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আহসান বিন বাসার।

আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর।
তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ।
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত।
শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি,
বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান।
ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী।
জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। 