নৌকা থেকে নেমে মোটরসাইকেলে উঠলেন আ.লীগ সভাপতি

২য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে সিলেট আওয়ামী লীগ। দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীদের কোনঠাসা করে খোদ আওয়ামী লীগের পদবীধারী নেতারা কাজ করছেন বিদ্রোহীদের পক্ষে। সোমবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আমজদ প্রকাশ্যে উপজেলার ২নং পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইলিয়াস রহমানের পক্ষে গণসংযোগ করতে দেখা গেছে। ইলিয়াসের মোটর সাইকেল মার্কায় ভোট দিতে সবাইকে আহ্বান জানান তিনি। এ নিয়ে দলের অভ্যন্তরে নানা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তৃণমূল কর্মীরা বলছেন, ‘আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক যখন বিপথে হাটবেন তখন আমরা কর্মী হয়ে কোন পথে যাবো। দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তার পক্ষেই কাজ করতে হাই কমান্ডের নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পদবীদারী নেতারা যখন বিদ্রোহীদের নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করবেন, তখন তো আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের ভরাডুবি হবে এটাই স্বাভাবিক।’ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সজিবুল ইসলাম জয় বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজদ সাহেব কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের বর্তমান অভিভাবক (সভাপতি)। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী নৌকা প্রতিকের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সভাপতি হিসেবে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা যেখানে, সেখানে তিনি নিজেই বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী জনসংযোগ চালাচ্ছেন। নৌকার বিপক্ষে প্রকাশ্যে মিছিল মিটিং করছেন। গত ৪ অক্টোবরে তিনি নৌকা প্রতিক পেতে তৃণমূল আওয়ামী লীগের ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তখন তিনি প্রতিপক্ষ মুুল্লুক হোসেনের কাছে ৩ ভোটে হেরেছিলেন। তৃণমূল আওয়ামী লীগ ওনাকে প্রত্যাহার করায় ক্ষুব্ধ হয়ে নিজে বিদ্রোহী প্রার্থী না হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াছুর রহমানকে প্রার্থী করিয়েছেন। যার প্রমাণ আমার কাছে আছে। তিনি চান না কোম্পানীগঞ্জের কোন ইউনিয়নে নৌকা বিজয়ী হয়। ইসলামপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হলেন মো. মুল্লুক হোসেন। তিনি ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। নৌকা মার্কার সমর্থনে ওই ইউনিয়নে কখনও আলী আমজদকে গণসংযোগ করতে দেখা যায় নি। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আলী আমজদের সাথে যোগাযোগ করে সাংবাদিক পরিচয় দিলে একটি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন রাখতে চান। তখন আবারও এক মিনিট সময় চাইলে তিনি কথা বলতে সম্মতি জানান, কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে গণসংযোগের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে কিছুই বুঝা যাচ্ছে না বলে ফোন কেটে দেন। এরপর কয়েকবার চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা যায়নি। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, এমন কোন অভিযোগ পাইনি বা আমার নজরেও আসেনি। উপযুক্ত প্রমাণ পেলেই অবশ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।