কক্সবাজারেও কোরআন চুরি করেছিল ইকবাল

কক্সবাজারের চকোরিয়ার একটি মসজিদ থেকেও পবিত্র কোরআন চুরি করেছিল ইকবাল হোসেন। তবে পালানোর সময় স্থানীয় জনতা হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে কোরআন শরিফটি রেখে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি স্বীকার করেছে সে। কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার (সিআইডি) খান মো. রেজওয়ান জানান, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে চকরিয়ার শেষ প্রান্তে ইকবাল একটি মসজিদ থেকে কোরআন চুরি করে রাস্তায় বসে পড়তে থাকে। এসময় স্থানীয় জনতা তাকে ধরে ফেলে এবং কোরআন রেখে ছেড়ে দেয়। এদিকে কুমিল্লার ঘটনায় ইকবালসহ ৪ জনকে ফের পাঁচদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। সিআইডি সহকারী পুলিশ সুপার এনামুল হক জানান, এরই মধ্যে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে ইকবাল। এর আগে তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। গত ১৩ অক্টোবর ভোরে নানুয়া দীঘির পূজামণ্ডপে হনুমানের মূর্তির কোলে পবিত্র কোরআন শরীফ দেখতে পাওয়া যায়। এ নিয়ে তৈরি হয় অশান্তি। যার রেশ পড়ে চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ কয়েকটি জেলায়। পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মাজার সংলগ্ন মসজিদ থেকে এক ব্যক্তি কোরআর শরীফ নিয়ে এসে এ অপকর্ম ঘটায়। যাতে চিহ্নিত হয় ইকবাল। পরে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। এদিকে নোয়াখালীতে সাম্প্রদায়িক হামলা মামলায় আরও দুই আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।