দীর্ঘ দিন থেকে পতিতা ব্যবসা চলত হোটেল সোনালীতে।

আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় সিলেটে আবারও পুলিশের জালে ধরা পড়লেন ১০ নারী-পুরুষ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন- জাকির আহমদ (২২), পিন্টু দাস (৩০), মো. সাজু মিয়া (২৬), নুরু মিয়া (৩৫), মো. মইনুল হক (৩৯), শুভ দাস (২০), বৃষ্টি আক্তার (১৮), সাথী আক্তার (১৯), স্মৃতি (২৬) ও রুনা আক্তার (২৭)। বৃহস্পতিবার রাতে সন্ধ্যায় নগরীর লালদিঘিরপাড়স্থ হোটেল সোনালী (আবাসিক)-এ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি)। সিলেট মেট্রোপলিট পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ডিবি) বি.এম আশরাফ উল্যাহ তাহের জানান, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে নগরীর লালদিঘিরপাড়স্থ হোটেল সোনালী (আবাসিক) থেকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ১০ নারী-পুরুষকে গ্রেফতর করে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ও পুলিশ পরিদর্শক অলক কুমার দত্ত। সঙ্গে ছিলেন এসআই মোঃ আরিফুর রহমান, এএসআই মোঃ গিয়াস উদ্দিন-২, এএসআই আমির হোনে আমু, কনস্টেবল আনোয়ার হোসেন, কনস্টেবল জালাল উদ্দিন, কনস্টেবল হাসান বক্স, কনস্টেবল আসাদ মিয়া, নারী কনস্টেবল বিলকিস বেগম ও তৃপ্তী রাণী দেব। এদিকে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হোটেলের মালিক তাজু ওরফে কানা তাজুসহ আরো কয়েকজন পালিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, হোটেল সোনালীতে তাজু ওরফে কানা তাজু (৫৫) ও ম্যানেজার নুরু মিয়া (৩৫) দীর্ঘদিন যাবত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তরুণী ও যুবতীদের হোটেলে নিয়ে রাখছেন এবং তাদের দিয়ে পতিতাবৃত্তির কাজ করাচ্ছেন। এ ঘটনায় হোটেলের মালিক ও ম্যানেজারসহ সকল অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।