কমেছে শনাক্ত ও মৃত্যু।

করোনা ভাইরাসে গতকালের তুলনায় কমেছে শনাক্ত ও মৃত্যু দুটোই। সেই সাথে কমেছে শনাক্তের হারও। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭ হাজার ৮৪৭ জন। এর আগে শুক্রবার দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৪ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে গত বছরের ৬ মে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে আসার ধারায় সংক্রমণ ও মৃত্যু নেমে এসেছে গত বছরের এপ্রিল-মে মাসের পর্যায়ে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একদিনে শনাক্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৯৪ জন। এর আগে শুক্রবার ২৩২ জন শনাক্ত হয়েছিলো যা, গত দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। সর্বশেষ গত বছরের ১৪ এপ্রিল এর চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছিল এক দিনে। সেদিন ২০৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। দেশে ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৫৩৫ নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৯৪ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮৫৭ জন। সুস্থ হয়েছেন আরো ২২৭ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ১৫ লাখ ৩২ হাজার ৬৯৫ জন। দেশে সাড়ে ছয় মাস পর দৈনিক শনাক্তের হার গত ২১ সেপ্টেম্বর ৫ শতাংশের নিচে নামে। জুলাই মাসে তা ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। গত ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ অগাস্ট তা ২৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।