সিলেটে বিকাশ প্রতারকচক্রের ‘টার্গেট’ শিক্ষার্থীরা।

প্রিয় শিক্ষার্থী ! Coronavirus (COVID-19) এর কারণে তোমাদের উপবৃত্তির ৪,২০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। টাকা গ্রহণের জন্য নিম্নোক্ত শিক্ষাবোর্ডের নম্বরে যোগাযোগ করুন। ০১৮৩৮০০৯০৬৮ নম্বরে বৃত্তি কোড : ১২৩০০”-এই খুদে বার্তাটি সিলেটের রাবেয়া খাতুন চৌধুরী নার্সিং কলেজের এক শিক্ষার্থীর মোবাইলে আসে। এভাবে অনেকের মোবাইলে এ ধরনের ম্যাসেজ আসছে। এই ফাঁদে পড়ে উপবৃত্তির টাকা খুইয়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার সতর্ক থাকার কারণে বেঁচে গেছেন। গত কিছু দিন থেকে সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছে এ ধরনের খুদে বার্তা পাঠাচ্ছে প্রতারকচক্র। সিলেটের বিভিন্ন বিকাশ এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছরের জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি প্রতারণার শিকার হন শিক্ষার্থীরা। এই মাসে বিকাশ অ্যাকাউন্টে উপবৃত্তির টাকা আসে। এরপর থেকে বিকাশ প্রতারকচক্র তাদের প্রতারণার ফাঁদ পাতা অব্যাহত রেখেছে। প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন শিক্ষার্থীর মোবাইলে এ ধরনের খুদে বার্তা আসছে। শিক্ষার্থী সহজ-সরল ও কিছুটা অসচেতন হওয়ায় সহজেই বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য প্রতারকদের দিয়ে দিচ্ছে। এতে টাকা খুইয়ে থাকে অনেকেই। প্রতারণার শিকার রিয়াজুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী জানান, ‘বাবা বিদেশে থাকেন। কিছু টাকা বিকাশের মাধ্যমে তিনি পাঠিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে বিকাশে ১০ হাজার টাকা ছিল। অফিসের লোক পরিচয় দিয়ে কৌশলে সব টাকা নিয়ে গেছে প্রতারকচক্র।’ সিলেট শহরতলীর টুকেরবাজার এলাকার বিকাশ এজেন্ট দিলোয়ার হোসেন জানান, উপবৃত্তির টাকা ছাড় হওয়ার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে প্রতারকচক্র। প্রতিদিনই শুধু শিক্ষার্থী নয় সাধারণ গ্রাহকের টাকা খোয়ানোর খবর আসে। তিনি বলেন, কেউ টাকা পাঠানোর আগে আমরা বার বার জিজ্ঞেস করি আপন বা পরিচিত কাউকে পাঠাচ্ছেন কিনা। কেউ প্রতারণার শিকার হলে আমরা তাদের কাস্টমার কেয়ার যাওয়ার পরামর্শ দেই।