অস্ত্রোপচার শেষে শঙ্কামুক্ত খালেদা জিয়া।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সফল অস্ত্রোপচার করে টিউমার অপসারণ করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান, তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বায়োপসি হয়েছে এবং তাতে কোনো সমস্যা হয়নি। তিনি আরো জানান, খালেদা জিয়ার শরীরের এক জায়গায় ছোট একটা টিউমার আছে। আর তাতে কোনো ক্ষতিকর কিছু আছে কিনা তা জানতে অপারেশন থিয়েটার নমুনা নিয়ে পরীক্ষাটি করা হয়েছে। এসময় বিএনপি মহাসচিব জানান, বায়োপসির পর খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন। তিনি তার বড়ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেছেন। ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমানের সাথেও কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার শরীরে ছোট্ট একটি (এক থেকে দেড় সেন্টিমিটার পরিমাণ) লাম্প পাওয়া গিয়েছিল। অপারেশন করে সেটি অপসারণ করা হয়েছে। এটির নমুনা আমেরিকায় পাঠানো হবে। এটির ফলাফল আসতে ২১ দিন লাগতে পারে। বর্তমানে তিনি অনেকটাই সুস্থ আছেন। চিকিৎসক সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাকে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হচ্ছে। নতুন করে কিডনি সমস্যা বেড়েছে, রক্তে হিমোগ্লোবিনেরও ঘাটতি রয়েছে। খালেদা জিয়া অনেক বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর মধ্যে আবার থেমে থেমে জ্বর আসায় একাধিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হচ্ছে। তবে, তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এর আগে দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে টিউমার অপসারণ করতে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যান। এছাড়াও হার্ট, কিডনি, লিভার জটিলতাসহ আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন। চলতি মাসের শুরুর দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে দ্বিতীয় দফায় ভর্তি হওয়া খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে।