Sobujbangla.com | বিদেশি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনে বছরে ক্ষতি দুই হাজার কোটি টাকা।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

বিদেশি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনে বছরে ক্ষতি দুই হাজার কোটি টাকা।

  |  ১৯:৫৮, অক্টোবর ০৩, ২০২১

দেশে সম্প্রচার করা বিদেশি চ্যানেলগুলোয় বিজ্ঞাপনমুক্ত ক্লিনফিড না থাকায় বছরে দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ বেশিরভাগ দেশে ক্লিন ফিডের বিদেশি চ্যানেল প্রচারিত হয়। দেশের ও মিডিয়ার স্বার্থবিরোধী কোনো দাবি মেনে নেয়া হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কেউ আইন ভঙ্গ করলে ব্যবস্থা নেবে সরকার। ক্লিনফিড না থাকায় ১ অক্টোবর থেকে বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সচিবালয়ে রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় কোনো বিদেশি চ্যানেল বন্ধ করেনি। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত, তবে দেশের আইন মেনেই যেকোনো সম্প্রচার চালাতে হবে। বিদেশি চ্যানেলের ক্লিনফিড সম্প্রচারের জন্য ক্যাবল অপারেটররা দুই বছর সময় নিয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, সেই সময় পার হওয়ায় তারা সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে। মন্ত্রী জানান, দেশে বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিরা, ফ্রান্স টিভি, এনিমেল প্ল্যানেটসহ ১৭টি চ্যানেলের ক্লিন ফিড আসায় এগুলো চলতে বাধা নেই। পাইরেসি করে কোনো কোনো ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডাউনলিংক করছে বলেও জানান তিনি। দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো অবস্থান না নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা কার্যকর থাকবে। বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার বিষয়ে যেকোনো আলোচনা দেশের আইন মেনেই হতে হবে, জানান তিনি। ৪ অক্টোবরের পর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে ক্যাবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব), এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই ধরনের আন্দোলনের কথা বলা অযৌক্তিক। সরকার দেশের স্বার্থ ঊর্ধ্বে তুলে ধরার জন্য, আইন বাস্তবায়ন করার জন্য বদ্ধপরিকর। ক্যাবল অপারেটররা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ক্যাবল অপারেটররা বললেও এটি জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার মতো একটি বক্তব্য। তারা কি চ্যানেলগুলো দেখা না যাওয়ার পর চার্জ কমিয়ে দিয়েছে? এক টাকাও তো কমেনি। তিনি বলেন, আমরা যখন এই পদক্ষেপ নিয়েছি দেশের সমস্ত মিডিয়া এটিকে অভিনন্দন জানিয়েছে, মিডিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যারা তারা অভিনন্দন জানিয়েছেন, শিল্পীরা অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি দেশের স্বার্থে, দেশের জনগণের স্বার্থে, দেশের মিডিয়া ইন্ড্রাস্ট্রি, সাংবাদিক ও মিডিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিল্পী ও কলাকুশলীদের স্বার্থে। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার কয়েকশ কোটি টাকার রাজস্ব হারায়। এই বিনিয়োগ বঞ্চিত হওয়ার কারণে মিডিয়া থেকে অনেকে ছাঁটাই হচ্ছেন। যখন এই বিনিয়োগটা দেশি মিডিয়ায় হবে তখন মিডিয়া থেকে ছাঁটাই হওয়াটা বন্ধ হয়ে যাবে বা সেই অজুহাতে ছাঁটাই করা যাবে না। এভাবে পুরো দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ