Sobujbangla.com | ইভানার মৃত্যুতে স্বামীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

ইভানার মৃত্যুতে স্বামীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ।

  |  ২০:২২, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১

ইংরেজি মাধ্যম স্কুল স্কলাসটিকার ক্যারিয়ার গাইডেন্স কাউন্সিলর ইভানা লায়লা চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনজনের নাম উল্লেখ করে ইভানার বাবা এ এস এম আমান উল্লাহ চৌধুরী এ অভিযোগ করেন।  অভিযোগে যে তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয় তারা হলেন, ইভানার স্বামী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান রুম্মান, তার প্রেমিকা ব্যারিস্টার সানজানা ইয়াসিন খান ও অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ইভানার স্বামী রুম্মান বিয়ের পর থেকেই ইভানাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। কিছুদিন আগে ইভানা জানতে পারেন, রুম্মান ব্যারিস্টার সানজানা ইয়াসিন খানের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়েছেন। পরে ইভানা তার স্বামী রুম্মান ও সানজানার মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে প্রেমালাপের প্রমাণও পান এবং তার স্ক্রিনশর্ট নিয়ে বন্ধুদের মেসেঞ্জারে পাঠান।  আরও উল্লেখ করা হয়, বেশকিছুদিন ধরে রুম্মান ইভানাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়াচ্ছিল, যাতে রুম্মান নির্বিঘ্নে সানাজানার সঙ্গে ফোনে প্রেমালাপ চালিয়ে যেতে পারে। এরআগে আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেনসহ ইভানার বাবা এ এস এম আমান উল্লাহ চৌধুরী রাতে শাহবাগ থানায় এসে লিখিত এই অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মওদুদ হাওলাদার বলেন, ‘নিহত ইভানার বাবা এসেছিলেন। তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এখন পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’ এরআগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শাহবাগের পরীবাগে বহুতল বিশিষ্ট দুই ভবনের মাঝ থেকে ইভানা লায়লা চৌধুরীর (৩২) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মৃত্যুর সুষ্ঠ তদন্তের দাবিতে শাহবাগ থানায় একটি আবেদন জমা দেন কিছু আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আসিফ বিন আনওয়ারসহ কয়েকজন আইনজীবী শাহবাগ থানায় যান। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারা থানায় আবেদনটি জমা দেন।  ইভানা যে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন এবং শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, এ সম্পর্কিত কিছু তথ্য প্রমাণও তারা আবেদনের সঙ্গে জমা দেন।  আইনজীবীদের পক্ষে আবেদনটি জমা দিয়েছিলেন আসিফ বিন আনওয়ার। তিনি লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজ সাউথে (এলসিএলএস) শিক্ষকতা করতেন। সেখানে ২০০৮ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তার ছাত্রী ছিলেন ইভানা। আইনজীবী আসিফ বিন আনওয়ার বলেন, ইভানা ইমেইলের মাধ্যমে আমাকে তার পারিবারিক সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। মৃত্যুর দুই দিন আগেও ফেসবুক মেসেঞ্জারে তার সঙ্গে আমার কিছু কথা হয়। ওই কথাতেও উঠে আসে, তার স্বামী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন, সেই প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলতে তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখতেন।  তিনি আরও বলেন, ইভানা হাত কেটে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন। সে ছবিও আমার কাছে পাঠিয়ে ছিল। আমি ওই সময় তাকে বার বার বুঝানোর চেষ্টা করেছি। এবং আমার সঙ্গে দেখা করা কথা বলেছিলাম। এর মধ্যে তার মৃত্যুর খবর আসে। এ কারণেই আমরা তার মৃত্যুর ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ