Sobujbangla.com | দৈনিক ১৩০ টাকা বেতনের কম্পিউটার অপারেটর ৪৬০ কোটি টাকার মালিক।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

দৈনিক ১৩০ টাকা বেতনের কম্পিউটার অপারেটর ৪৬০ কোটি টাকার মালিক।

  |  ১৫:২১, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১

টেকনাফ বন্দরের চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে ২০০১ সালে দৈনিক ১৩০ টাকা বেতনে চাকরি নেন নুরুল ইসলাম (৪১)। সেই থেকে নিজের অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে চোরাকারবারি, শুল্ক ফাঁকি, অবৈধ পণ্য খালাস, দালালিসহ বিভিন্ন কৌশল রপ্ত করে অবৈধভাবে ৪৬০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গোয়েন্দা সংস্থা ও র‍্যাবের যৌথ অভিযানে নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় র‍্যাব। ওই অভিযানে তার কাছ থেকে ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট, মিয়ানমারের ৩ লাখ ৮০ হাজার মুদ্রা, ৪ হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা এবং ২ লাখ ১ হাজার ১৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাব জানায়, অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থের মাধ্যমে নুরুল ইসলাম ঢাকায় ৬টি বাড়ি ও ১৩ টি প্লটের মালিক হয়েছেন। এছাড়া তার সাভার, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, ভোলাসহ বিভিন্ন জায়গায় নামে-বেনামে সর্বমোট ৩৭টি প্লট-বাগানবাড়ি রয়েছে। অবৈধভাবে তার অর্জিত সম্পদের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪৬০ কোটি টাকা। র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, চাকরির সুবাদে বন্দরের সংশ্লিষ্ট মানুষের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে নুরুল ইসলামের। একপর্যায়ে গড়ে তোলেন সিন্ডিকেট। তার সিন্ডিকেটে ১০-১৫ জন সদস্য রয়েছে। আটক নুরুল টেকনাফ বন্দর কেন্দ্রিক ওই দালাল সিন্ডিকেটের অন্যতম মূলহোতা। এক পর্যায়ে ২০০৯ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে তার আস্থাভাজন এক ব্যক্তিকে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেন। অবৈধ আয়ের উৎসকে ধামাচাপা দিতে তিনি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। এর মধ্যে এমএস আল নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, এমএস মিফতাউল এন্টারপ্রাইজ, এমএস আলকা এন্টারপ্রাইজ, আলকা রিয়েল স্টেট লিমিটেড এবং এমএস কানিজ এন্টারপ্রাইজ অন্যতম। গ্রেফতার নুরুলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াদীন আছে বলে জানায় র‍্যাব।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ