Sobujbangla.com | শফিক ও হাবিবকে নিয়ে উজ্জিবিত আওয়ামীলীগ।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

শফিক ও হাবিবকে নিয়ে উজ্জিবিত আওয়ামীলীগ।

  |  ২০:০১, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১

দুই পরিবর্তনে আবারও চাঙা ভাব দেখা দিয়েছে সিলেট আওয়ামী লীগে। সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের বিজয় ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির পদে শফিকুর রহমান চৌধুরীর দায়িত্ব নেওয়া—শোক কাটিয়ে দুই পরিবর্তন আওয়ামী লীগে নতুন প্রাণ সঞ্চারিত হবে মনে করছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যু হয়। পরে এ আসনে ৪ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন হয়। এ সময় মাঠেও বেশ সক্রিয় ছিলেন হাবিব। এ নির্বাচনে জেলা আ.লীগের সদস্য তরুণ রাজনীতিবিদ হাবিবুর রহমান হাবিব সাংসদ নির্বাচিত হন। জয়ী হওয়ার পর নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে করছেন কর্মিসভা। এলাকার উন্নয়নে জানাচ্ছেন নানা পরিকল্পনার কথা। প্রয়াত সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের স্মৃতিরক্ষাসহ দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে চান তিনি। তাঁর এমন কর্মপ্রচেষ্টায় আশার আলো দেখছেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। মহানগর আ.লীগের সদস্য জুমাদিন আহমদ বলেন, ভোটে তরুণ প্রার্থী হাবিবের বিজয়ে রাজনীতির মাঠ বেশ চাঙা। হাবিবও প্রতিদিন নেতা-কর্মীসহ ভোটারদের সঙ্গে সভা-সমাবেশে মিলিত হচ্ছেন। তাঁর হাত ধরেই এলাকার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হবে। নবনির্বাচিত সাংসদ হাবিবুর রহমান বলেন, ১০ বছর ধরে এ আসনের মানুষের সঙ্গে মাঠে ময়দানে কাজ করেছি। মানুষ আমার ওপর আস্থা রেখেছে বলেই ভোট দিয়ে জয়ী করেছে। তাই ভোটারদের আস্থার প্রতিদান দিতে চাই। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও ভোটারদের দিকনির্দেশনায় একটি নান্দনিক আসন উপহার দিতে চাই। এদিকে ২ সেপ্টেম্বর মারা যান সিলেট জেলা আ.লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসন থেকে সাংসদ হন শফিকুর রহমান। এর পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি শফিকুর রহমানকে। ২০১১ সালে পেয়ে যান সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান বলেন, ‘আওয়ামী পরিবারে দুই পরিবর্তন ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। যদিও দুজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদকে হারানোর মধ্য দিয়ে এ পরিবর্তন এসেছে। শোককে শক্তিতে পরিণত করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। উপনির্বাচনে হাবিবুর রহমানের বিজয় দলকে বেশ চাঙা করেছে। তা ছাড়া শফিকুর রহমান চৌধুরীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ায় সংগঠনের কার্যক্রম আরও বেগবান হবে।’ নতুন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘পদ-পদবি বড় কথা নয়। আ.লীগের একজন কর্মী হিসেবে দলের সেবা করে যেতে চাই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে মানুষের কল্যাণে কাজ করাই আমার মূল ব্রত। নতুন দায়িত্ব থেকে দলের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করাই হবে আমার মূল কাজ।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ