Sobujbangla.com | জোরালো হচ্ছে মাহফুজ আনাম ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের দাবি। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেব আমরা।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

জোরালো হচ্ছে মাহফুজ আনাম ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের দাবি। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেব আমরা।

  |  ২১:১৬, আগস্ট ২৯, ২০২১

হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি, হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র, সংবিধান লঙ্ঘন করে সনাতনি হিন্দু আইন সংস্কারের উদ্যোগ, হিন্দু সম্প্রদায়কে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, আন্তর্জাতিকভাবে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে অপচেষ্টা করার অভিযোগে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সঙ্গে জড়িত শাহীন আনামসহ সবাইকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে সনাতনি ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশ। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে কতিপয় এনজিও এবং স্বার্থান্বেষী মহল দ্বারা সনাতনি পারিবারিক আইন পরিবর্তনের অপচেষ্টার প্রতিবাদে পারিবারিক আইনে পরিবর্তন নিষ্প্রয়োজন বিষয়ক গোলটেবিল শীর্ষক আলোচনায় তারা এ দাবি জানান। গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক। হিন্দু ল ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ্রী শঙ্কর চন্দ্র দাস বলেন, মাহফুজ আনাম, শাহীন আনাম, অ্যাঞ্জেলা গোমেজ ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আমাদের ধর্ম পরিবর্তন করতে চায়। অথচ আমাদের আরো কত সমস্যা আছে, সেগুলো নিয়ে তারা কথা বলে না। আমাদের ওপর এত দরদ থাকলে কখনো তো শত্রু সম্পত্তি আইন নিয়ে কথা বলেননি। অথচ একটা মীমাংসিত বিষয় আমাদের হাজার বছরের সনাতনি আইন সংস্কার করতে চান। এটা তো মীমাংসিত। এই আইনের কারণে তো আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের কারো কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তাহলে হিন্দু আইন কেন আপনাদের মাথাব্যথার কারণ হলো। তিনি বলেন, আপনারা তো হিন্দু ধর্মের কেউ নন। হিন্দু ধর্ম বোঝেনও না। আসলে মাহফুজ আনাম, আপনারা এ দেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়কে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে নেমেছেন। আপনারা আবার ১/১১-এর মতো চক্রান্তে মেতে উঠেছেন। আপনাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এ দেশের দেড় কোটি হিন্দু জেগে উঠেছে। মিথ্যা প্ররোচনা দিয়ে আপনারা কিছুই করতে পারবেন না। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, দ্রুত বারবার চক্রান্তকারী মাহফুজ আনাম, তার স্ত্রী শাহীন আনাম ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করার জন্য। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেব আমরা। অ্যাডভোকেট ডি এল রায় চৌধুরী বলেন, মাহফুজ আনাম, শাহীন আনাম ও মতিউর রহমানরা একসময় কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে জড়িত ছিল। হিন্দু সম্প্রদায়ের আইন সংস্কারের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করতে এখন তারা রংবাজি করছে। তাদের মায়াকান্না দেখে বলতে ইচ্ছা করে, ভাত দেওয়ার নাম নেই, কিল দেওয়ার ঘোসাই। এ কথা বললাম, কারণ হিন্দু সম্প্রদায়ের আরো কত সমস্যা আছে, সেগুলো নিয়ে কখনোই কথা বলে না। অথচ তারা আসছে আমাদের আইন সংস্কার করতে। তিনি বলেন, মাহফুজ আনামরা আমাদেরকে উসকিয়ে দিল। তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেব। তা না হলে দুদিন পর বলবে, হিন্দুদের লাশ শ্মশানে না নিয়ে গোরস্তানে নিলে ভালো হয়। না পুড়িয়ে মাটিচাপা দিলে ভালো। এসব চক্রান্তকারীদের বিদেশ থেকে নাম বিক্রি করে টাকা আনার পথ বন্ধ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, তারা বলে বিদ্যমান আইনে হিন্দু মেয়েরা সম্পদ পায় না। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আবার বলে, হিন্দু নারীরা তালাক চায়, বাস্তবতা হলো- কোনো হিন্দু নারী তালাক চায় না। সিঁদুরহীন, শাঁখাহীন অহিন্দুরাই তালাক চায়। মাহফুজ আনামরা দেখে দেখে তাদেরকেই দলে ভিড়িয়েছেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ