Sobujbangla.com | সিলেটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্ঠায় পর্যটন শিল্প।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

সিলেটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্ঠায় পর্যটন শিল্প।

  |  ১৯:২২, আগস্ট ২০, ২০২১

করোনাকালীন বিধিনিষেধে এতোদিন ছিলো নীরব। ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা সাদা পাথর বিছানা পেতে পর্যটকদের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকলেও সাড়া মেলেনি। প্রতি বছর অন্তত পাঁচ লক্ষাধিক পর্যটকের আনাগোনায় পর্যটনকেন্দ্রগুলো সরব থাকলেও এবার বর্ষায় ‘শ্রী’ সিলেটের রূপ দেখতেও আসেনি কেউ। কিন্তু গতকাল সকল নীরবতা ভেঙ্গে স্বচ্ছ জলে গা ভাসিয়ে দিতে বৃষ্টিস্নাত দিনে জড়ো হয়েছিলেন অনেক পর্যটক। সেই সাথে সরব হয়ে উঠে সিলেটের সকল পর্যটন কেন্দ্র। এদিকে অতি আনন্দে স্বাস্থ্যবিধি অনেকটাই বিঘ্নিত হলো প্রথম দিনেই। সেইসাথে পরিবেশের দূষণ শুরু। তবে পর্যটন কেন্দ্র সরব হতে শুরু করলেও আশা আর হতাশায় ব্যবসায়ীরা। পরিবেশ দূষণ নিয়ে শঙ্কিত পরিবেশ কর্মীরা। আর প্রকৃতির সান্নিধ্য পেয়ে খুশি পর্যটকরা। সাদাপাথর এলাকায় পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন নগরীর আম্বরখানা এলাকার বাসিন্দা আহমদ নাহিদ ইমতিয়াজ। তিনি বলেন, দিনটা মেঘাছন্ন। দীর্ঘদিন পর মনে হচ্ছে বন্দীদশা থেকে মুক্ত হলাম। এসময় সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রকে গড়ে উঠা রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন মায়া দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে লোকসানের কথা জানিয়ে বলেন, সাদাপাথর পর্যটক না আসলে আমাদের ব্যবসা নাই। এখন পর্যটন কেন্দ্র খুলায় কিছুটা হলেও জানে বাঁচা সম্ভব। সিলেটজুড়ে চা বাগান, রাতারগুল, জাফলং, পাংতুমাই, বিছানাকান্দি, সাদাপাথর, লালাখাল, মাধবকুণ্ড ঝর্ণা কিংবা বিভাগের আনাচেকানাচে থাকা অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র সমৃদ্ধ করেছে সিলেট অঞ্চলকে। কিন্তু পর্যটনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছিলো অন্ধকার। এবার বন্ধ দ্বার খোলায় আলো জ্বলেছে হোটেল-মোটেলে। তবে পর্যটন কেন্দ্র খুললেও আশা আর হতাশায় সিলেট বিভাগের প্রায় পাঁচ শতাধিক হোটেল, গেস্ট হাউস ও রিসোর্ট মালিকরা। ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে আছে শঙ্কা। এমনকি অন্তত আরো তিন মাস না গেলে ব্যবসাও শুরু হবে না বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের। সিলেটের খাদিমনগর এবং লালাখাল এলাকায় অবস্থিত দুইটি নাজিমগড় রিসোর্ট। দুই প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা কর্মচারী মিলে কাজ করছেন প্রায় দুই শতাধিক মানুষ। মাসে যাদের বেতন প্রায় ৩৫ লাখ টাকার উপর। এমন অবস্থায় দীর্ঘ লকডাউনে ঋণের বোঝা বেড়েছে এ দুই প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু দীর্ঘদিন পর বৃহস্পতিবার প্রথম দিন প্রতিষ্ঠান খুললেও ব্যবসা হয়নি মোটেও। ডিসেম্বর না আসলে ব্যবসা জমে উঠার সম্ভাবনা নেই জানিয়ে নাজিমগড় রিসোর্টের এমডি নাজিম কামরান চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি ছুটি না থাকলে মানুষ ঘুরতে আসে না। তাছাড়া দেশ অভাবে। প্রায় ১৮ মাস থেকে লকডাউন। মাঝখানে মাত্র তিন মাস ব্যবসা করার সুযোগ হয়েছিলো। আর এখন আবার খুলেছে। জানি না কতদিন খুলা থাকে। আমার দুই প্রতিষ্ঠানে মিলে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতনই হয় ৩৫ লাখ টাকার উপর। অন্যান্য আনুষাঙ্গিক খরচ বাদই দিলাম। এতদিন কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতনটাও সঠিকভাবে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাদেরওতো পরিবার আছে। এখন আমাদের দাবি হলো সরকার থেকে বিনা সুদে দীর্ঘমেয়াদী কোন ঋণের ব্যবস্থা করলে অন্তত টিকে থাকা যাবে।’ অপরদিকে, পর্যটন কেন্দ্র খোলার সাথে সাথে পরিবেশ দূষণ নিয়ে শঙ্কিত পরিবেশ কর্মীরা। তাই নির্ধারিত স্থানে ময়লা ফেলায় পর্যটকদের উদ্বুদ্ধ করতে পরামর্শ দিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ