Sobujbangla.com | বীর্য সন্ত্রাসের শিকার দ. কোরিয়ার নারীরা : গার্ডিয়ান।
News Head
 সারজিস বলেছেন আগামীর বাংলাদেশে দাসত্ব প্রত্যাশা করি না। জি এম কাদেরের বাসা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদও করা হয় রোহিত শার্মার দুই কীর্তি এক শটে বিএসএফ ২২ জনকে পাঠালো চুনারুঘাট সীমান্ত দিয়ে আরও। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল করেছে সিলেট জেলা মহিলা দল। সিলেটে কোম্পানীগঞ্জের বিরিজ গর্ত, দুর্ঘটনার শঙ্কা বলের চমক আফগানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের দারুণ শুরু,। সিলেটে বিক্ষোভ ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে। ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে এই দেশ সকলের। যেকোনো মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবো,। বাংলা দেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী গন অধিকার পরিষদ থেকেই হবে।

বীর্য সন্ত্রাসের শিকার দ. কোরিয়ার নারীরা : গার্ডিয়ান।

  |  ২১:৩৭, আগস্ট ১৪, ২০২১

নতুন পন্থায় যৌন হেনস্তায় মেতেছে দক্ষিণ কোরিয়ার দুষ্কৃতকারীরা। তাদের হাতিয়ার এখন বীর্য সন্ত্রাস বা সিমেন টেরোরিজম। নারীদের জিনিসপত্রে মাখিয়ে দেয়া হচ্ছে বীর্য। এমন কী, কফি বা খাবারেও মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে তা। নারীদের উপর রাগ মেটাতে এই পন্থা অবলম্বন করছে পুরুষদের একাংশ। মজার কথা হলো, এই কাণ্ড ঘটালেও অভিযুক্তর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার মামলা করা যায় না। আর এই ইস্যুতেই উত্তাল দক্ষিণ কোরিয়ার রাজপথ। নারীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। ২০১৯ সালে হ্যাশট্যাগ মি ঠু নিয়ে যখন গোটা বিশ্ব উত্তাল হয়ে উঠেছিল সে সময় সামনে আসে এই বীর্য সন্ত্রাসের কাহিনী। দক্ষিণ কোরিয়ায় কয়েক হাজার নারী এই সন্ত্রাসের কোপে পড়েছে বলে অভিযোগ। প্রথমে এক নারীর জুতোতে বীর্য লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আদালত অভিযুক্তকে ৪৩৫ ডলার জরিমানা করে। পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ আনা হয়েছে। কারণ এমন অপরাধের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও আইনই নেই। সেই থেকে শুরু। পরবর্তীতে এ ধরনের আরও অনেক অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। একবার দেখা যায়, এক নারীর পানীয়তে বীর্য মিশিয়ে দিয়েছে এক পুরুষ। কারণ, অভিযুক্ত ওই নারীকে একাধিকবার প্রেমপ্রস্তাব দিয়েছিল সে। কিন্তু তিনি তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তারই বদলা নিতে গিয়েই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিল। অভিযুক্তকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ৩ বছরের জেল দেওয়া হয় তার। দিন কয়েক আগে তো এক সরকারি আধিকারিকের কফিতেও বীর্য মেশানো হয়েছিল। একবার নয়, ছয় বার তার কফিতে বীর্য মিশিয়েছিল সহকর্মীরা। যদিও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কেবলমাত্র কফি কাপ নোংরা করার অভিযোগ আনে। বারবার এ ধরনের অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। অথচ অভিযুক্তের শাস্তির ব্যবস্থা নেই সে দেশের আইনে। তাই এবার বীর্য সন্ত্রাসকারীদের বিরুদ্ধে কড়া আইন আনার পক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিবিদরাও। আন্দোলনে নেমে গেছে সে দেশের নারীরা। এ প্রসঙ্গে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা বেক হি রাইয়ান জানান, ওই সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনা হয়নি। কারণ, সে অভিযোগকারিণীকে স্পর্শ করেনি। ফলে এটি আইন অনুযায়ী যৌন হেনস্তার পর্যায়ে পড়ে না। তবে এই আইনের দ্রুত বদল দরকার। আন্দোলনরত নারীরাও একই দাবিতে আন্দোলন করছেন। যাতে এমন কাণ্ড করে কেউ রেহাই না পায়।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ