Sobujbangla.com | সিলেটে করোনার চিকিৎসায় ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন জরুরি।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

সিলেটে করোনার চিকিৎসায় ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন জরুরি।

  |  ১৯:৪৪, জুলাই ৩০, ২০২১

গত ২৯ দিনে সিলেট বিভাগে ১২ হাজার ৫৩২ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনায় মারা গেছেন ১৯৬ জন। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার দিক দিয়ে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে সিলেট জেলা। লকডাউনেও আক্রান্ত বেড়ে যাওয়ায় রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতাল। পাশাপাশি আইসিইউ ও অক্সিজেনের সংকটও রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে সিলেটে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় কোভিড ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের দাবি জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। তাদের দাবি, ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন হলে রোগীরা চিকিৎসা পাবেন। অক্সিজেন ও আইসিইউ সুবিধাও পাবেন। তবে, লোকজনকে আধুনিক স্বাস্থ্যসম্মতভাবে জীবনযাপন করতে হবে। দেশের বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আহমদ পারভেজ জাবীন জানিয়েছেন, ডেল্টা ভেরিয়েন্টের জন্যে কয়েক সপ্তাহ থেকে করোনা সংক্রমণের হার উর্ধ্বমুখী। বার বার লকডাউন দিয়েও সংক্রমণ চক্র ভাঙা এখনো সম্ভব হয়নি। করোনা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। আক্রান্তদের মধ্যে ২০ শতাংশ কোভিড নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। এই ২০ শতাংশের মধ্যে আবার ৫ শতাংশের ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ প্রয়োজন হয়। সিলেট বিভাগীয় শহর হওয়ায় এবং রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আইসিইউ সুবিধাসহ ৫০০ শয্যার কোভিড ফিল্ড হাসপাতাল শুরু করা অতীব জরুরি। আক্রান্ত কেবলই বাড়ছে। এজন্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সিলেটের কোথায় এই ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করা যেতে পারে- এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। সিলেটের স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, লোকজন সতর্ক হলে, স্বাস্থ্য বিধি কঠোরভাবে মেনে চললে কোভিড-১৯ শনাক্তের সংখ্যা কমে আসবে। এগুলো না মানলে শুধু ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করে মহামারি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করতেও বেশ সময়ের প্রয়োজন। তবে , সংক্রমণের হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে হয়তো এমন হাসপাতাল নিয়ে চিন্তা করা যায়। ফিল্ড হাসপাতাল করতে হলে চিকিৎসক, নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবল, সেন্ট্রাল অক্সিজেন, বেডসহ অনেক কিছুই লাগবে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গেল ১ জুলাই থেকে গতকাল ২৯ জুলাই পর্যন্ত সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় ১২ হাজার ৫৩২ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। নতুন এই রোগীর মধ্যে সিলেট জেলার ৪ হাজার ৬৫ জন, সুনামগঞ্জ জেলার ১ হাজার ৪৫৭ জন, মৌলভীবাজার জেলার ২ হাজার ২০২ জন ও হবিগঞ্জ জেলার ১ হাজার ৬৫৬ জন। এই সময়ে মারা গেছেন ১৯৬ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় সর্বোচ্চ ১৪০ জন, সুনামগঞ্জ জেলায় ১৬ জন, মৌলভীবাজার জেলায় ২১ জন ও হবিগঞ্জ জেলায় ১১ জন মারা যান। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গত সপ্তাহে সিলেট জেলায় শনাক্তের হার ছিল ৪১ শতাংশ আর চলতি সপ্তাহে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩৯ শতাংশে। সুনামগঞ্জ জেলায় গেল সপ্তাহে শনাক্তের হার ছিল ২৮ শতাংশ। চলতি সপ্তাহে এ হার দাঁড়িয়েছে ৩৪ শতাংশে। মৌলভীবাজার জেলায় গত সপ্তাহে শনাক্তের হার ছিল ৪০ শতাংশ। চলতি সপ্তাহে এ হার দাঁড়িয়েছে ৩৩ শতাংশে। হবিগঞ্জ জেলায় গেল সপ্তাহে শনাক্তের হার ছিল ৩৯ শতাংশ। চলতি সপ্তাহে শনাক্তের হার দাঁড়ায় ৩৭ শতাংশে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পর্যালোচনায় সিলেট বিভাগে করোনা সংক্রমণের দুই সপ্তাহে শনাক্তের এমন চিত্র পাওয়া গেছে। জানা গেছে, দেশে করোনা শনাক্তের পর গত মাসে এক দিনে সর্বোচ্চ ৮ জন মারা যান। এর আগে কোন দিন একদিনে এতো মৃত্যু দেখেনি সিলেটবাসী। চলতি মাসে সিলেটে করোনায় মৃত্যু রেকর্ড সৃষ্টি করে। চলতি মাসের গত ২৯ দিনে সিলেট বিভাগে মৃত্যুর রেকর্ড গড়েছে প্রাণঘাতি করোনা। প্রথমবার ৯ জন , এরপর ১২, পরে ১৪ জন এবং সর্বশেষ গত বুধবার এক দিনেই সিলেট বিভাগে ১৭ জনের প্রাণ কেড়ে নেয় কোভিড-১৯। এদিকে , গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার আগের ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে করোনায় ১২ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৮ জনই সিলেট জেলার বাসিন্দা।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ