Sobujbangla.com | সংবাদকর্মী মোটরসাইকেল টার্গেট । এসএমপির ‘প্রেস বিরোধী’ অভিযান নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

সংবাদকর্মী মোটরসাইকেল টার্গেট । এসএমপির ‘প্রেস বিরোধী’ অভিযান নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

  |  ১৩:৩০, জুলাই ২৯, ২০২১

সিলেটে করুণা মহামারীর মধ্যেও আরেকটি মহামারী দেখা যাচ্ছে মোটরসাইকেলের উপরে সিলেট এস এম পি ট্রাফিক পুলিশ
সিলেটে হঠাৎ করে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে এসএমপির অবিযান নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। অনেকেই এর কঠোর সমালোচনা করছেন।
সমালোচকরা মনে করছেন- যে যে পেশারই পেশাজিবী হোন না কেন তার বৈধ কাগজপত্র থাকলে তিনি নিজ পেশার স্টিকার ব্যবহার করতে পারেন, এতে কারো আপত্তি বা বিপত্তি থাকার কথা নয়। আর যদি নিজের বৈধ কাগজপত্র না থাকে তবে যে যতবড় পেশাজীবী হোন না কেন তিনি অবৈধভাবে যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন না। এখানে একটি বিশেষ পেশাজীবীদের বিরোদ্ধে অভিযানটি প্রশ্নবৃদ্ধ।
সংশ্লিষ্টরা জানান- সড়ক আইন কিংবা ট্রাফিক আইন বিশেষ কোন সম্প্রদায় বা বিশেষ কোন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রচিত হয়েছে বলে কারো জানা নেই। তবে পুলিশ যে কারো বিরুদ্ধে অভিযানে নামতেই পারে যদি তাদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে। কিন্তু ঢালাওভাবে কোন কমিউনিটি মীন করে এমন প্রচারণা কতটুকু নৈতিকতা সমৃদ্ধ?
সাধারণত ‘প্রেস ‘ বলতে বুঝায় ছাপাখানা, সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিক ইত্যাদি।ইংরেজী প্রেস(press) শব্দের বাংলা পরিভাষা ‘সংবাদ পত্র’। বর্তমানে এর অর্থ আরো ব্যপক। প্রেস বলতে এখন আর কেবল সংবাদপত্রকে বোঝায় না, বোঝায় সামগ্রিকভাবে সংবাদ কারবারিদের। গোটা সাংবাদিক সম্প্রদায়কে বুঝায়।
সমাজে ভূয়া পুলিশ, ভূয়া চিকিৎসক, ভূয়া আইনজীবি, ভূয়া সাংবাদিক, ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট সহ বিভিন্ন পেশায় ভূয়াদের আবির্ভাব লক্ষ্য করা যায়। এ সংক্রান্ত স্পেসিফিক তথ্য পেলে অবশ্যই আইন-শৃংখলা বাহিনী অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে। কিন্তু ঢালাওভাবে কোন কমিউনিটি বোঝায় এমন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান ঐ গোষ্ঠিকে হেয় করার শামিল। পুলিশ ও সাংবাদিকের কাজ এক ও অভিন্ন। রাষ্ট্র ও জনস্বার্থে এ দুই কমিউনিটি কাজ করে থাকে।
মোহনা টেলিভিশনের সিলেট প্রতিনিধি শিপার আহমদ ফেইসবুকে লিখেছেন-
শুধু প্রেস লেখা বাইকে হবে কেন অভিযান?
জরুরী বিদ্যুৎ, ডাক্তার, পুলিশ, এডভোকেট, সিসিকের জরুরী কাজে নিয়োজিত এসব লেখা সম্বলিত সকল বাইকের হোক অভিযান। নয়তো হবে বৈষম্যতা। সুনামের বদলে দুর্নামে অভিহিত হবে প্রশাসন।
সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক পাঠাগার সম্পাদক ও সিলেট জেলা বারের লাইব্রেরি সম্পাদক আব্দুল মুকিত অপি একটি ফেইসবুক পোস্টের কমেন্টে গিয়ে লিখেছেন-
এই সময়ে এটা কোনভাবেই জরুরি কাজ নয়। পুলিশের উচিত,মানুষকে সচেতন করা যাতে তারা ঘরে থাকেন। কেউ বের হলে তিনি মাস্ক ব‍্যবহার করছেন কি-না,যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন কি-না–এসব নিশ্চিত করতে পুলিশের সময় ও শক্তি ব‍্যয় করা দরকার । মোড়ে মোড়ে পুলিশ এখন একটাই কাজ করছে, মোটরসাইকেল আটকাচ্ছে
বড়ই আজব কাজ-কারবার…
জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাব এর সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক এম. সাইফুর রহমান তালুকদার ফেইসবুকে লিখেছেন-

শুধু প্রেস লেখা গাড়িতে অভিযান কেন?
রেজিস্ট্রেশন নম্বর বিহীন যেকোনো গাড়ি তথা মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান নিঃসন্দেহে এটা একটি ভালো উদ্যোগ!
তবে শুধু প্রেস না দেখে আইনজীবী, সিটি কর্পোরেশন, জরুরী বিদ্যুৎ, ওয়াসা, গ্যাস, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পুলিশ ইত্যাদি এসব লেখা প্রত্যেকটা নম্বরহীন অবৈধ গাড়ি গুলোর দিকেও নজর দেওয়া দরকার। তাতে করে একদিকে সবাই যেমন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে, অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব আদায়ও বাড়বে। সাথে সাথে অভিযান ভিন্ন দিকে প্রবাহিত হবে না।

সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও একাত্তোর টিভির সিলেট ব্যুরো প্রধান ইকবাল মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকরাই কি শুধু কাগজছাড়া মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন? আর কেউ কি করছেন না? তাহলে সাংবাদিকদের টার্গেট করা হলো কেন? রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেল যারাই ব্যবহার করবেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হেক। শুধু প্রেসলেখা মোটারসাইকেলের বিরুদ্ধে প্যাসিফিক অভিযানের কোন যৌক্তিকতা নাই।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে এসএমপির মুখপাত্র ও এডিসি বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, করোনা ও লকডাউনকালিন সময়ে লক্ষ করা যাচ্ছে প্রেস লিখিত কিছু মোটরসাইকেল প্রতিদিনই চলছে। তারা বাহিরে যাওয়ার কারনও বলতে পারছেন না, বৈধ কাগজও দেখাতে পারছেনা, তারা প্যাসেঞ্জারও বহন করছেন। এরা স্বীকৃত কোন গণমাধ্যমের সাথেও সংশ্লিষ্ট নন। কিন্তু তারা সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিব্যি ঘুরাফেরা করছেন। এজন্য যারা ভূঁইফুড় তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট কোন পেশার কাউকে কষ্ট দেয়ার জন্য এই অভিযান নয়।
তিনি বলেন, যাদের কাগজপত্র নাই তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ