নবীগঞ্জে লকডাউনে সঙ্কটে নিম্নআয়ের মানুষ।
করোনায় কেমন আছে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ১৩ টি ইউনিয়ন নিয়ে এ উপজেলা ৮০% মানুষ কৃষি কাজ ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনে বাড়তি চাপ পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষের উপর। তার ওপর সামনে কোরবানির ঈদ। ইতিমধ্যে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে এসেছেন বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত উপজেলার স্বল্প আয়ের মানুষজন। এতে ভয়াবহ করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থান না হলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসার শঙ্কা দেখা দিয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের।
কেউ চালাচ্ছে রিক্সা, কেউবা আবার দৈনিক চুক্তি ভিত্তিতে কাজ করে সংসারের অভাব অনটন দুর করতে কাজ করলেও এখন আর তেমন কাজও নেই। করোনা আতঙ্কিত চারদিকে শুধুই শূন্যতা। এদিকে পরিবহণ শ্রমিকরা কঠোর লকডাউনের ফলে কর্মহীন অলস সময় পার করছে। ফলে সংসারের অভাব-অনটনে অর্ধহারে-অনাহারে জীবন কাটাতে হচ্ছে তাদের। এদিকে ব্যাটারি চালিত অটো রিস্কা ও মিশুক চালকেরা সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ পরিবহন চালাতে পারছে না নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ হয়ে পড়েছেন কর্মহীন যা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক প্রভাব তৈরি করেছে।
কর্মহীন হয়ে পড়া এসব মানুষের সঞ্চয় ইতিমধ্যে ফুরিয়ে এসেছে। এতে অর্থনৈতিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সমাজের নানা স্তরে। মানুষের মনে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। তার ওপর কর্ম হারিয়ে বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠী গ্রামে যুক্ত হওয়ায় পড়ছে কাজের আকাল। অভাব-অনটনে পড়ে অনেকেই জীবিকার তাগিদে অসৎ পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
৫ সন্তানের পিতা নবীগঞ্জের চা ব্যবসায়ী ছালিক মিয়া বলেন, কঠোর লকডাউনের কারণে দোকান বন্ধ রেখেছি। ছেলে মেয়ে সহ স্বামী স্ত্রী আমাদের সাত জনের সংসার চা বিক্রি করে আমার সংসার চলে। আয় বন্ধ থাকলে সংসার চলবে কি করে। গত লকডাউনের সময়ও দোকান বন্ধ ছিল। তখন জমানো টাকা ভেঙে সংসার চালিয়েছি। এখন ঘরে টাকা নেই। দিনের পর দিন দোকান বন্ধ থাকলে তো না খেয়ে মরতে হবে। সরকারের সাহায্য ছাড়া বেঁচে থাকা টাই থাকবে না।
নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে কয়েক জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সাথে কথা হলে তারা জানান, ব্যবসা করে যা আয় হতো তা দিয়ে সংসার টেনেটুনে চলতো। কিন্তু বর্তমানে মানুষের সমাগম বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নির্দেশে দোকান বন্ধ। এখন আমরা গরীব মানুষ কোথায় যাব। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।
নবীগঞ্জ পৌর শহরে লকডাউনের ১০তম দিন বিকাল ৩ টায় রিক্সা চালক শফিক মিয়া সাথে আলাপ হয়। লকডাউনে রিকশা নিয়ে বের হয়েছেন কেন বলতেই তিনি বললেন, ভাই পেটের জ্বালায় ঘরে থাকা যায় না। আমরা সাধারণ মানুষ, আমরার খবর রাখে কে? পেটের দায়ে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। সকাল থেকে রিকশা নিয়ে ঘুরছি, রাস্তায় যাত্রী না থাকায় আয় রোজগার নেই বললেই চলে। এ সময় তিনি আরোও বলেন, করোনা নয়, সরকার সাহায্য না করলে ছেলে মেয়েদের নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।
এদিকে কঠোর লকডাউনে কাজ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন উপজেলার অভ্যন্তরীণ রুটে চালাচলকারী বাসের হাজারও শ্রমিক।
অন্যান্য জনপরিবহন শ্রমিকরা জানান, অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চালিয়ে তারা যা আয় করেন তা দিয়ে তাদের কোন রকমে সংসার চলে। এখন লকডাউনে খুব সমস্যার মধ্যে দিন পার করতে হচ্ছে। কাজ না থাকায় পরিবার পরিজনদের নিয়ে না খেয়ে কষ্টের দিন কাটাচ্ছেন তারা।
স্থানীয় সাংবাদিক উত্তম কুমার পাল হিমেল বলেন, গত বছরের লকডাউনের শুরুতেই সরকারের পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সেচ্ছাসেবী সংগঠন দারিদ্রসীমার নিচে থাকা মানুষদের নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছিল। কিন্তু এবারের কঠোর লকডাউনে সরকারি অনুবাদ ছাড়া আর্থসামাজিক প্রতিষ্ঠান গুলো আর এগিয়ে আসছে না। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে ভালো নেই নিম্ন আয়ের মানুষেরা। কঠোর লকডাউনে তাদের আয় একেবারে কমে গেছে। পরিবার চালানোর ন্যূনতম খরচটুকুও যোগাতে পারছেন না।

আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর।
তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ।
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত।
শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি,
বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান।
ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী।
জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। 