Sobujbangla.com | সিসিকের এ কেমন নির্মমতা।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

সিসিকের এ কেমন নির্মমতা।

  |  ১৩:৫৮, জুন ০৫, ২০২১

সিসিক’র কর্মচারীর আবরণে ওরা কারা? বিভিন্ন সময়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের হয়ে প্রতিবাদের নামে সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িয়ে পড়ছেন কিছু কর্মচারী। এদের নিয়ে সচেতন মহলে চলছে তুমুল সমালোচনা। তাদের প্রশ্ন, মেয়র কাউন্সিলর বা নগর ভবনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা জনগনের জন্যই নিযুক্ত। সেই জনগনের বিরুদ্ধে যারা হামলার মতো জঘন্য কাজে লিপ্ত, তারা কারা? কেউ কেউ সন্দেহ করছেন, তারা একটা বিশেষ রাজনৈতিক দলের কর্মী।
টানা দু’তিন দিন সিলেট নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বা অটোারিকশার বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশন। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে এসব অভিযানে বেশ কিছু ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা জব্দও করা হয়েছে।
এতে অটোচালকদের নিয়ে একটি বাম সংগঠনের ব্যনারে মিছিলসহ বুধবার নগর ভবনের সামনে কামরান চত্ত¡রে অবস্থান নেন। এসময় নগর ভবনের ফটক বন্ধ করে দিলে বিক্ষুব্ধ হয় শ্রমিকরা। এর পর নগর ভবনের ভেতর থেকে ইট-পাটকেলের ঝড় আসে। ঝড়ের জবাবে শ্রমিকরাও পাল্টা আক্রমন করে। প্রায় ১০-১৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলতে থাকে এ সংঘর্ষ। একপর্যায়ে একজন রিকশা শ্রমিককে রাস্তার মাঝে ফেলে মারধর করা হয়। এরপর সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী থানা পুলিশ ও বন্দরবাজার ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অটোরিকশা চালকদের ছত্রভঙ্গ করে দেন।
এ ঘটনায় সচেতন মহলের প্রশ্ন, কেউ আইনশৃঙখলা ভঙ্গ করলে সরকারের পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা আছেন। তারাই সেটা দেখবেন। কিন্তু তা না করে সিলেট সিটি করপোরেশনের হয়ে কারা পাল্টা হামলায় জবাব দেন? এরা কারা? তাহলে কি নগর ভবন এখন ক্যাডার নির্ভর? এই ক্যাডারদের লালন পালন করা হচ্ছে সরকার এবং নগরবাসীর ট্যাক্সের টাকায়?
এর আগে চৌহাট্টায় উচ্ছেদ অভিযানের সময়েও দেখা গেছে, নগর ভবনের কর্মচারী পরিচয়ের আড়ালে একদল ক্যাডার চালকদের উপর হামলা করেছে, ধাওয়া করেছে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। সব শেষ গত বুধবার অসহায় অটোচালকদের উপরও অনুরূপ হামলা ঘটনা ঘটলো।
এ নিয়ে সচেতন মহলের বক্তব্য পরিস্কার, নগর ভবন থেকে কর্মচারী পরিচয়ের আড়ালে যারা বারবার আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন, তারা কারা? তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছেনা কেন? নাকি তারা আইনের উর্ধ্বে?
এ ব্যাপারে স্থানীয় মুহিবুর রহমান নামে এক ছাত্রলীগ নেতা তার ফেসবুকে লিখেন, ‘মেয়র আরিফপন্থী ছাত্রদল, যুবদল, সিটি কর্পোরেশনের পরিছন্নতা কর্মী, লেবার কর্তৃক মেয়র আরিফের গুন্ডামি, সিলেট আওয়ামী লীগ ও সিলেটের প্রশাসন উভয়ের জন্যই থ্রেট এবং ভবিষ্যৎ কর্মকাÐের আগাম বার্তা।
ছাত্রলীগ নেতা হোসাইন আহমদ তার ফেসবুকে লিখেন,আমি বুঝলাম না, ‘সিলেট সিটি কর্পোরেশন কি সিলেট মহানগরীর আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করা কোন বিশেষায়িত পুলিশ স্টেশন? সিসিকে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা কি পুলিশ বা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোন বাহিনীর সদস্য! অফিসে কাজ করার জন্য তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে না রাস্তায় রাস্তায় এর সাথে ওর সাথে মারামারি সভা সমাবেশ মিছিলে হামলার মতো বিশেষ কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যমূলক লক্ষ্য নিয়ে এদের সিসিকে ঢুকানো হয়েছে? একদিন দুইদিন হটাৎ করে ঘটা এসব সংঘর্ষ হামলা জনগণ মেনে নিতে পারে কিন্তু প্রতিদিন স্বয়ং মেয়র মহোদয়ের রীতিমতো হেলমেট পরে এসব মাস্তানী কে সহ্য করবে?
তিনি আরো বলেন, ‘মেয়র কি দেশের অন্ধকার যুগকালীন ২০০১-০৬ এর নিজেদের দোর্দÐ প্রতাপের নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত।
এ বিষয়ে কথা বলতে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর মুঠোফোনে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ