ঝুঁকিপূর্ণ ভবেনই চলছে পোস্ট অফিস।
জরাজীর্ণ ভবন, ছাদ থেকে ধ্বসে পড়ছে পলেস্তারা, কোথাও কোথাও ভবনের প্রাচীর ভেঙে বের হয়ে আসছে ভিতরের রড- এরকম নানা সমস্যা নিয়েই চলছে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পোস্ট অফিসের কার্যক্রম। পোস্ট অফিসটি ১৯৭২ সালে শায়েস্তাগঞ্জের প্রাণকেন্দ্রে স্টেশন রোডে স্থাপিত হয়। ডিজিটাল যুগে দেশ প্রবেশ করলেও পোস্ট অফিসের প্রয়োজনীয়তা এখনো ফুরিয়ে যায়নি। সরকার পোস্ট অফিসকে আধুনিকায়ন করার জন্য সবরকমের সহায়তাই করে যাচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় শায়েস্তাগঞ্জ পোস্ট অফিসেও চালু হয়েছে পোস্ট ই-সেন্টার। এই ই-সেন্টারে ৬০ জন শিক্ষার্থী ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই ক্লাস করছেন।
পোস্ট অফিসে কর্মরত রয়েছেন ১৪ জন। অফিস সূত্রে জানা যায়, বার বার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নতুন ভবনের জন্য চিঠি দিলেও তারা কোনো সায় পাচ্ছেন না।ফলে ঝুঁকির মুখেই চলছে কাজ৷
শায়েস্তাগঞ্জ পোস্ট অফিসের অধীনে রয়েছে ১৪টি সাব অফিস। ওই সকল অফিসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও থাকে এই অফিসেই। পোস্ট অফিসের অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষের আমানত। এখনও এখানে সেবা নিতে আসেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষরা।
সরজমিনে দেখা যায়, পুরো অফিস জুড়েই বিদ্যুতের তার ঝুলানো। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। নেই কোনো শৌচাগার, যত্রতত্র ফেলা হয় ময়লা। অফিসের দরজা জানালা সব ভাঙা, নেই কোনো সেফটি ট্যাংকও। এদিকে ভুমিকম্পে ভবনের চারপাশের ওয়ালে ধরেছে ফাটল।
পোস্ট অফিসের ই-ট্রেনিং সেন্টারের প্রশিক্ষক জনি রানী দাস বলেন, সেন্টারে ৬০ জন ছাত্র-ছাত্রী ক্লাস করে। সবসময় আতঙ্কের মধ্যে থাকি। কোন সময় ধ্বসে পড়ে ছাদ। ক্লাস চালাকালীন সময়ে প্রায়ই ছাদ থেকে পলেস্তারা ধ্বসে পড়ে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে ছাত্র-ছাত্রীরা।
পোস্টাল অপারেটর আখলাকুল আম্বিয়া বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে কাজ করি। নানা সমস্যায় জর্জরিত আমাদের অফিস।
এ ব্যাপারে পোস্ট মাস্টার (পিএম) গোলাম মোস্তফা শামীম বলেন, ‘বেশ কয়েক জায়গায় ছাদের রড বেরিয়ে গেছে। আমার জন্য নির্ধারিত বাস ভবনটিও পরিত্যক্ত। নিরাপত্তা কর্মীও নাই আমাদের। মানুষের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও টাকা থাকে এ অফিসে। সব মিলিয়ে নানা সমস্যার বেড়াজালে এই অফিস। নতুন ভবনের জন্য বিভাগীয় অফিসকে বলা হয়েছে’।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জের সহকারি পোস্ট মাস্টার জেনারেল (এপিজি) মো. আব্দুল কাদের বলেন, ‘নতুন ভবনের জন্য ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয় অফিসে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। হয়তো কিছুদিনের মধ্যে নতুন ভবনের জন্য ফাইল অনুমোদন হবে। পুরাতন ভবন ও সীমানা প্রাচীরে রঙ করে দিয়েছি। নতুন কম্পিউটার ও প্রিন্টার দিয়েছি’।
বিদ্যুতের ঝুলানো তার সম্পর্কে বলেন, উদ্যোগ নিয়েছিলাম ওয়্যারিং করার জন্য, কিন্তু ভবনের অবস্থা খারাপ দেখে আর কাজ করিনি।

আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর।
তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ।
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত।
শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি,
বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান।
ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী।
জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। 