Sobujbangla.com | আবার পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে গণফোরামের দুই অংশ।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

আবার পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে গণফোরামের দুই অংশ।

  |  ১৯:২৭, মার্চ ০৬, ২০২১

আবারো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে মাঠ নামছে গণফোরামের দুই অংশ। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও এডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন অংশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের মাধ্যমে দলকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে। আর ড. কামাল হোসেন তার সমর্থকদের নিয়ে রোজার আগেই দেশব্যাপী গণফোরামের গন সংযোগ জোরদারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শনিবার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, তারা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সংগঠনকে শক্তিশালী করছেন।
গণফোরামের অপর অংশ সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বলেন, গণফোরাম নামে দুটো দল বলার সুযোগ নেই, কিছু লোক দল থেকে বেরিয়ে গেছে।
এ সময় প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বলেন, যারা তার সাথে আছেন তারা জনগণের ঐক্যের ওপর ভরসা করেই গণফোরাম করে যাচ্ছেন।
গণফোরামরে আরেকটি অংশের কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, দল থেকে বের হয়ে একটি পক্ষ নানা কথা বলতে পারে। কিন্তু তারাই গণফোরামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে দেশব্যাপী কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছেন।
ড. কামাল হোসেনের এমন অভিযোগের জবাবে সংগঠনের অপর অংশের মুখপাত্র এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, ড. কামাল হোসেনকে বাদ দিয়ে কখনই তারা দল করতে চান না। দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা একটি কুচক্রী মহল গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে মিসগাইড করছে।
তিনি আরও বলেন, মোকাব্বির খান এখন গণফোরামের সভাপতি হতে চান।
রাজনৈতিক দল করা এতো সহজ কাজ নয় দাবি করে সুব্রত চৌধুরী বলেন, তারা বহিষ্কার পাল্টা বহিষ্কারের নোংরা রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। আগামী ২৮ ও ২৯ মে ঢাকায় দলের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখানে ড. কামাল হোসেনকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। দেশব্যাপী ৭১টি সাংগঠনিক জেলার প্রতিনিধিরা কাউন্সিলে যে সিদ্ধান্ত নিবেন তা বাস্তবায়নে দল কাজ করে যাবে।
ড. কামাল হোসেন প্রবীণ নেতা। কিন্তু দল পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু সংখ্যক অদূরদর্শী রাজনৈতিক নেতার খপ্পরে পড়েছেন।
তার ভাষায়, এরা কুচক্রী মহল, যারা অতীতে জাতীয় নেতা পংকজ ভট্টাচার্যয়, অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম, মাওলানা আহমেদুর রহমান আজমীর মত নেতাদের দল থেকে অপমান করে বের করিয়েছিল।
এদিকে , স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন ও জাতীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে আগামী ৯ মার্চ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করা হবে। গণফোরামের অভ্যন্তরীণ গৃহ বিবাদের মধ্যে সম্প্রতি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক পদ ছাড়েন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এস এম কিবরিয়ার ছেলে অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া। ২০১৯ সালের ৬ মে গণফোরামের কমিটি পুনর্গঠন করে ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি ও রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ওই কমিটিতে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও এডভোকেট সুব্রত চৌধুরীকে নির্বাহী সভাপতি এবং মোস্তফা মহসিন মন্টুকে কেন্দ্রীয় কমিটির এক নম্বর সদস্য করা হয়েছিল।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ