Sobujbangla.com | ফাহাদ কি বলির পাঠা।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

ফাহাদ কি বলির পাঠা।

  |  ১৮:২৩, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১

ভাগ্য যেন তার বিপরীতেই গেলো। তাইতো অস্ত্রসহ আটক হলো সে। নাম ফয়সল আহমদ ফাহাদ। সিসিক-পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ চলাকালে অগ্নেয়াস্ত্রসহ তাকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর থেকে সিসিকের পক্ষ থেকে ওই যুবককে শ্রমিকদের পক্ষে সিসিক মেয়রকে হত্যা করার জন্য এসেছিলো দাবি করা হলেও কিছু সময় পর ঘটনা মোড় নেয় ভিন্ন দিকে। যানা যায় ফাহাদ সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। তাতে কি? কে নিবে ফাহাদের দায়! শ্রমিকরা দাবি করছেন ফাহাদ নামের কাউকেই তারা চিনেন না। আর সিসিক মেয়র বলছেন অস্ত্রসহ আটক যুবক শ্রমিক। দায় নিচ্ছে না স্বেচ্ছাসেবক লীগ। তাহলে কি ফাহাদ কারো পক্ষে গিয়ে বলির পাঠা হয়ে গেল? শ্রমিকরা অভিযোগ করছেন, ‘২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপনের আত্মীয় ফাহাদ। তিনি মেয়রকে হত্যা করানোর উদ্দেশ্যে ফাহাদকে এনেছিলেন।’ তাহলে কেন এসেছিলো ফাহাদ? কার নির্দেশে কাকে হত্যা করতে এসেছিলো এ নিয়ে চলছে এখন আলোচনা-সমালোচনা। কেউ বলছেন ৩য় কোন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য অস্ত্র নিয়ে এসেছিলো সে। আবার অতীতে মেয়রের সাথে উচ্ছেদ অভিযানের একটি ছবিও ভাসছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। বুধবার দুপুরে যখন শ্রমিকদের সাথে সিসিকের সংঘর্ষ চলছিলো তখনই ধাওয়া পালটা ধাওয়ার মধ্যেই পুলিশ দেশীয় একটি পাইপগানসহ তাকে আটক করে। একটি কম্বলে মুড়িয়ে পাইপগানটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। তাৎক্ষনিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনাস্থলেই জানায়, নাম ফয়সল আহমদ ফাহাদ। বাসা পীরমহল্লা এলাকায়। এর পর অস্ত্রসহ আটকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় আলোচনা। সে আলোচনায় যুক্ত করা হয় ফাহাদের অতীতের কয়েকটি ছবি। এসব ছবির মধ্যে একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে ফাহাদ সিসিক মেয়রের সাথে এর আগেও উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নিয়েছিলো। ফয়সল আহমদ ফাহাদের নিজের ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ছবির স্ক্রিনশটও আছে আলোচনায়। ওই স্ক্রিনশটে দেখা যায় ফাহাদ, ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফতাব এবং সিসিক মেয়র একই সাথে যাচ্ছেন উচ্ছেদ অভিযানে। ছবিটি প্রকাশের তারিখ দেখা যাচ্ছে ১৭ এপ্রিল ২০১৯। তবে ঘটনার শুরু থেকে সিসিক মেয়র অস্ত্রসহ আটক যুবক শ্রমিকদের একজন দাবি করে আসছেন। এমনকি ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সিসিক মেয়র মতবিনিময় সভা করেও অস্ত্রসহ আটক যুবক শ্রমিক বলে জানান। কেবল তাই না, ওই আটকের পর পর সিসিক কর্মকর্তারা অস্ত্রসহ যুবক মেয়রকে হত্যা করার জন্য তেড়ে আসছিলো দাবি করে আসছিলেন। আর শ্রমিকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে ওই যুবককে নিয়ে আসা হয়েছিলো। ফাহাদ শ্রমিকদের কেউ কি না জানতে চাইলে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুহিত বলেন, ‘সে শ্রমিক না। সে স্বেচ্ছাসেবক লীগ করে। কাউন্সিলর আফতাব সাহেবের অনুসারী। তাছাড়া প্যানেল মেয়র ও ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপনের আত্মীয়।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ