Sobujbangla.com | জোর করে দেহব্যবসা করাতেন আছমা।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

জোর করে দেহব্যবসা করাতেন আছমা।

  |  ১৮:১৫, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে নিজ বাড়িতেই আছমা গড়ে তুলেছেন দেহব্যবসা ও মানবপাচারের আস্তানা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নারীদের ধরে এনে জোর করে পতিতাবৃত্তিতে নামান আছমা (৪৫)। তার এই যৌনপল্লীর নারীদেরই শ্রীমঙ্গলসহ দেশের বিভিন্ন হোটেল-রিসোর্টে ভাড়ায় পাঠানো হয়। ইতিমধ্য অভিযুক্ত নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
শ্রীমঙ্গল থানা সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে গোপন সংবাদ পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শহরের গুহরোড এলাকা থেকে আছমাকে গ্রেফতার করে। তিনি নারী পাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা বলে দাবি করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আছমা শহরতলীর সুরভীপাড়া এলাকার নূর মিয়ার স্ত্রী।
শ্রীমঙ্গল থানার এসআই ইউসুফ আলী জানান, মঙ্গলবার রাতে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে পুলিশ শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকায় অবস্থিত আছমার বাসায় অভিযান চালায়। এসময় সেখান থেকে দুই নারী ও দুই পুরুষ খদ্দেরকে আটক করে। এর আগেই সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যান আছমা।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা একটি সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র বলে স্বীকার করে। আসামিরা ওই স্থানে টাকার বিনিময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীদের এনে পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে পাচার করে। গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এই মামলার সূত্র ধরেই বুধবার রাতে আছমা পুলিশের জালে ধরা পড়ে।
শ্রীমঙ্গল শহরের বিরাহিমপুরের বাসিন্দা রুমান আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আছমা দীর্ঘদিন ধরে শ্রীমঙ্গলে পতিতাবৃত্তির ব্যবসা করে আসছে। এর আগে কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হলেও ছাড়া পেয়ে আবারো পুরোনো কাজে ফিরে আসেন এই নারী।
হাউজিং এস্টেট এলাকার বাসিন্দা বেলাল আহমেদ বলেন, আছমা তার বসতবাড়ি যৌনপল্লী বানিয়ে ফেলার পাশাপাশি বিভিন্ন আবাসিক হোটেল রিসোর্টেও নারী সরবরাহ কাজে জড়িত।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি মো. আব্দুস ছালেক বলেন, আছমা পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে নারী পাচারকারী চক্রের হোতা। তিনিসহ সংঘবদ্ধচক্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ