Sobujbangla.com | আবারো পেছালো এমসিতে গণধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

আবারো পেছালো এমসিতে গণধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ।

  |  ১৯:৩১, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২১

সিলেটের মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে নববধূকে গণধর্ষণের মামলায় আজও সাক্ষ্যগ্রহণ করেননি আদালত। এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি ও ২৪ জানুয়ারি‌ সাক্ষ্য গ্রহণের নির্ধারিত তারিখেও সাক্ষীরা হাজির না হওয়ায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। এরই মধ্যে বিচারিক আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাই কোর্টে মামলার বাদী আবেদন করেছেন।
রোববার সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হকের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্ত বাদীপক্ষ বিচারিক আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করায় সাক্ষ্য নেননি বিচারক। এর আগে সকাল ১১টায় কড়া নিরাপত্তায় ধর্ষণ মামলার ৮ আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাদী ন্যায়বিচারের আশঙ্কা থেকে বিচারিক আদালত পরিবর্তনের আবেদন করেছেন। আবেদনে সিলেটের অন্য কোনো ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য মামলাটি যেন বদলির আদেশ দেয়া হয়, সে প্রার্থনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিষয়টি হাইকোর্টে থাকায় রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আদালতে সাক্ষ্য নেয়া হয়নি। সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আজ বিকেলে এ সংক্রান্তে আদেশ দেবেন।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আবেদনটি করেন মামলার বাদী। আজ রোববার শুনানী শেষে আলোচিত এ মামলার আদালত পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত দেবেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীর সাথে সিলেট নগরের টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে বেড়াতে আসেন ওই গৃহবধু। এসময় তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি আটকিয়ে স্বামীর সামনেই পালাক্রমে ওই নারীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর। ওই রাতেই নির্যাতিতা নারীর স্বামী বাদী হয়ে নগরের শাহপরান থানায় ৬ জনের নামোল্লেখ ও সন্দেহভাজন আরও ২ জনকে আসমি করে মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলো- এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
গত ৩ ডিসেম্বর সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আবুল কাশেমের আদালতে ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
এতে সাইফুর রহমানকে প্রধান করে ছয় জনের বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণে জড়িত থাকা এবং অপর দুই জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্ত আট আসামি কারাগারে রয়েছেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ