Sobujbangla.com | স্ত্রীর মামলার ভয়ে সিলেট এসে খুন হন চিকিৎসক।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

স্ত্রীর মামলার ভয়ে সিলেট এসে খুন হন চিকিৎসক।

  |  ১৯:১১, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১

রেজাউল করিম হায়াত (৫০)। পেশায় একজন পল্লী চিকিৎসক। তিনি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের উত্তর রাজনগর কালাছাদক এলাকার চেরাগ আলীর ছেলে। সংসার জীবনে ৯ সন্তানের জনক। হায়াত আলী বিয়ে করেছিলেন তিনটি। প্রথম ও তৃতীয় স্ত্রীর সাথে দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটলেও দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে চলছিল সংসার। পারিবারিক কলহের জের ধরে হায়াতের স্ত্রী মিনা বেগম তিন সন্তানকে নিয়ে তার পিত্রালয় মাঝেরগাঁও গ্রামে চলে যান। সেখান থেকে কোম্পানিগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন রেজাউলের বিরুদ্ধে। সেই মামলার ভয়ে নিজেকে রক্ষা করতে এসেছিলেন সিলেটে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে সিলেট আসার কথা বলে বের হন হায়াত। সেই যে বাড়ি থেকে এসেছিলেন আর বাড়ি ফিরে যাননি হায়াত আলী। এরপর কি হয়ে গেলো কোনো কিছু বুঝে উঠতে পারছেনা পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায়, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে লালবাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা হোটেল মোহাম্মদীয়া আবাসিকের পেছনে রেজাউল করিম হায়াতের লাশ দেখতে পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
এসময় তার শরীরের মধ্যে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন পায় পুলিশ। পুলিশের সুরতহাল রির্পোট অনুযায়ী মরদেহের চোখে, কানের নিচে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার নাক মুখ সহ শরীর রক্তাক্ত ছিলো। এরপর পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের মর্গে লাশ পাঠায়।
ধারণা করা হচ্ছে, গত শনিবার ও রোববার এই দুই দিনের ভিতরে কোনো এক সময় তাকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশ ঘটনাটিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবেই দেখছে।
এ ঘটনায় লালবাজারের হোটেল মোহাম্মদীয়ার ম্যানেজার আব্দুর রউফ চৌধুরী (৪৪), সহকারী ম্যানেজার শামীম (২১), হোটেল কর্মচারী দেলোয়ার (২১) ও ফরিদকে (২৪) কোতোয়ালি থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
এসএমপি মূখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বি.এম আশরাফ উল্যাহ তাহের। বলেন, এ চারজনকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি এস এম আবু ফরহাদ বলেন, হায়াত আলীর স্ত্রী একটি মামলা কোম্পানিগঞ্জ থানায় দায়ের করেন।ওই মামলার ভয়ে আত্মরক্ষার জন্য সিলেট আসেন তিনি। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি এটা হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় নিহতের ছোট বোন মিনা বেগম বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন কোতোয়ালি থানায়। মামলা নং ৩। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখছি। এটা দুর্ঘটনা নাকি খুন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ