এমসিতে গণধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ২৪ জানুয়ারি।
সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধুকে গণধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার চার্জ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়েই এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হল। আগামী ২৪ জানুয়ারি প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার সকাল ১১টায় সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহিতুল হক আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। এসময় আসামিদের সবাই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। আসামিদের পক্ষে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি ও অর্জুন লস্কর অব্যাহতি চেয়ে আইনজীবীদের মাধ্যমে আবেদন করলে তা খারিজ করেন আদালত। এছাড়া, রনির পক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা খারিজ করেন আদালতের বিচারক। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট শুনানিতে অংশ নেন।
এরআগে গত ১২ জানুয়ারি সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে রোববার চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত। সেদিন পুলিশের প্রদান করা গণধর্ষণর মামলার এ চার্জশিটে কোনো ধরনের কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছিলেন বাদী পক্ষের আইনজীবীরা।
অভিযুক্তরা হলেন- ছাত্রলীগ কর্মী ও এমসি কলেজের ছাত্র সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম।
অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজনকে সরাসরি ধর্ষণে সম্পৃক্ত এবং রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই আটজনই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ভেতরে একটি রাস্তায় স্বামীকে আটকে প্রাইভেটকারের ভেতর ওই গৃববধূকে (২৫) পালাক্রমে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মী। ঘটনার রাতেই নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে এসএমপির শাহপরান থানায় ৬ জনের নামোল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ৬ আসামিসহ সন্দেহভাজন আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯ ও পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া আটজনই মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ফৌজদারি দন্ডবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলাটি তদন্ত করে গত ৩ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। এ মামলায় মোট সাক্ষী করা হয়েছে ৫২জনকে।

আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর।
তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ।
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত।
শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি,
বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান।
ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী।
জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। 